সাত অশ্ব
তুমি কখনোই জানবে না তার কথা
বিরামহীন প্রতিক্ষায় অস্থির হৃদয়ে যার আনুগত্য
সূর্যের তাপ শুষে নিয়েছিল, মধ্য দুপুরে।
জানবে না কেমোলিথোট্রফিক জীবে গভীর লাল জলের নদীটি
কেমন করে হারিয়েছিল তার সোনা, রৌপ্য ধাতু;
প্রাচীন সংস্কৃতি, সভ্যতা।
কে জেনেছে সূর্যরথে ছন্দের তালে সাত অশ্বের
রঙধনু খেলার কথা-
সূর্য থেকে আসা দৃশ্যমান সাদার আড়ালে বেগুনি, নীল,
আসমানি, সবুজ, হলুদ, কমলা, লালের রহস্য?
তুমি কখনোই জানবে না এসবের কথা
এসব জানার কথাও নয়।
ঈর্ষার লালে গলে যায় হৃৎপিণ্ড
ভেঙে যায় গ্লাস কাচের দেয়ালও, টানাপড়েনে
সুতোই সুতোই গিঁট
হৃৎপিণ্ডের শিরায় রক্ত জমাট বেঁধে গেলে
তোমাদের সবটাই ঠিক।
মিউ থেকে উদ্ভূত পানি প্রতীক, প্রাণী থেকে প্রথম
আদি-চোখ
ঈর্ষার লালে গলে যায় হৃৎপিণ্ড, অহং যাতনায়
জন্ম বিরোধ।
এভাবেই
পরিবর্তন-পরিবর্ধন সময়ের ক্ষুধারই ইঙ্গিত
তুমি, আমি যা কিছু অনন্ত আক্ষেপে-সবই মেকি।
বুঝতে হবে জ্যৈষ্ঠের খরতাপে ডাংগুলি খেলা যে শিশুটি
মায়ের বকুনিতে কেঁদে বুক ভাসাতো,
আজ সেও সন্ধ্যার কপালে টিপ পড়িয়ে কারও হাত ধরে হাঁটে।
বয়োবৃদ্ধির রোষানলে মানব সভ্যতার নবজাগরণে বদলে যায়
মার্কসবাদ
মৌলবাদ-মনুবাদ বুক পকেটে ঠেসে হিংস্র যুবক ভুলে যায;
ভর দুপুরে ঘর পালানো দুরন্ত কিশোরের গল্প।
পুতুল খেলায় মত্ত যে কিশোরী বুঝতো না একদিন কল্পকথা
সেও আজ বয়োসন্ধিতে দুর্বিনীত যৌবনের শুদ্ধিকরণে
রজঃনিঃসরণে পূর্ণাঙ্গ।
এভাবেই বেড়ে ওঠে চারাগাছ,
দর্শন শেষে ধর্ষণ জায়গা দখল করে নেয় মানুষের আগ্রহ
টপোগ্রাফিক্যাল ম্যাপ মস্তিষ্কে পুতে দেয় ষষ্ঠইদ্রিয়
এভাবেই বিজ্ঞানের সাথে পিছিয়ে পড়ে সমঝোতা, সময়ের সাথে
বদলে যায় জীবনবোধ।
মাটি কামড়ে পড়ে থাকা বৃক্ষটিও একদিন ভুলে যায়
মাটির কষ্ট
বারো থেকে বত্রিশ বক্ষের আয়তন জানান দেয় বয়সের
পরিবর্ধন
এভাবেই ব্যালকনি জুড়ে ধূলোর আস্তরে খুঁটে খুঁটে
স্মৃতি খেয়ে যায় মানুষের অস্থিমজ্জ্বা।
অথচ, ভালোবাসা ফিরে গেলেও থেকে যায় কামরের দাগ।