ভবিষ্যতের কবিতা
ধরে নিচ্ছি এবার বসন্তে
খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটা কোকিলের পাছা
তোমায় জানাবে টা টা…
স্ত্রীর আয়নায় ভাসবে সতীন-স্ত্রীর মুখ
প্রেমিকার মুখোশ ধরবে ঢিমনিরা,
মনের মধ্যে টান পড়বে
আরও জোরে হেঁইয়ো…
জন্মদিন কিংবা শুভ উদ্বোধনে
ব্যবহার কমে যাবে বেলুনের,
শাড়ির দোকানে ভিড় হবে খুব
এবং সে সুযোগটাই নেবে
বিচ্ছেদী মহিষিণীরাও;
সভাপতি মহোদয়কে বলব:
অমুক কবিকে সম্মাননা, উত্তরীয় দেওয়া হোক।
উত্তর আসবে, ’তিনি মানে হ্যাঁ, ভালো কবি:
তয় তার অনেক সমস্যা আছে।’
আমিও ফটফট করে বলব,
‘তার সমস্যা দিয়ে আপনের কী কাম?’
চুপ থাকবেন কিছুক্ষণ
কয়েক দিন কয়েক মাস চুপচাপ
তারপর দেখা যাবে তারই চক্রান্তে
পদক পাবেন কোনো এক আহম্মক!
সাক্ষাৎকার
আজকাল কেউই দিতে চায় না
খালি ঘোরায়, ঘুরিয়ে ফেরায়—
দুটো দিন আর দুটো দিন পর
ঘন সন্ধ্যা নামলে এসো,
বাগানের ফুলগুলো আরেকটু ফুটুক
কৃত্রিম আলো পড়ুক জানালায়
তখন, তখন দেখো প্রফুল্লচিত্তে
আমিই তোমায় ডেকে নেব।
মিথ্যের হিংস্রতায় বন্যতা পেয়ে বসে
সামাজিক খোপে খোপে,
সাক্ষাৎকারের নেশায় কেটে যায় বয়স।
দিতে চায় না আর আমি নাছোড়বান্দা—
পুরুষের মুখ থেকে বের করি নারীর অনুভূতি
নারীর মুখ থেকে পুরুষের আকাঙ্ক্ষা…
সহমত
দৈনিক সেনা সৈনিক থানা পুলিশ
মর্গের ডোম, কাকের কাকা থেকে
দূরত্ব চেয়েছে আমার কবিতা,
বলেছে,
কুঞ্জপুঞ্জ যেনতেন ছালবাকলে
অনুচ্চারিত আর অমুদ্রিত থেকেই
আমি উপভোগ করতে চাই
ভাবের যাপন!