সাইকো সিরিজ-১
আত্মহত্যার আগে একটা নীল দড়ি খুঁজবো। নীল আমার পছন্দের রঙ।
ছোটবেলায় একটা নীল শার্ট খুব প্রিয় ছিল।
নীল শাড়ি পরতে বলেছিলাম যাকে তার জীবনে নীল আকাশের দূরত্ব ছিল অনেক বেশি।
নীল দড়িতে ঝুলে পড়ার আগে একটা নীল আকাশ কল্পনা করার চেষ্টা করবো।
নীল চাষ থেকে নীল নকশা পর্যন্ত অজস্র রক্তের নদী! চোখের জল নীল হলে পিকাসোর ছবিগুলো মানুষ বুঝতো হয়তো।
আত্মহত্যার আগে একটা নীল চাদর খুঁজবো, ক্রমশ লাল হতে থাকা চোখজুড়ে একটা নীল বাসনা পড়ে রইলো পায়রার বন্দরে। একটা নীল জাহাজের সাইরেন মাথার ভেতরে বেজে গেলো আজীবন…
সাইকো সিরিজ
মানুষের চুমুহীন ঠোঁট ঠুকরে খায় নিরুপদ্রব চাঁদ!
নিষ্ফলা জ্যোৎস্নায় মাঠেরা গেছে বিদ্রোহের মিছিলে।
ক্ষমতার আঙুলগুলো পিঁপড়ের কাঁধে, সন্তর্পণে চলেছে মজুদঘরে।
করতলে আদিম বাসনা।
দালিলিক দুনিয়ায় ভাঁটফুলেরা স্বীকৃতি পেলো না।
গল্প থেকে উঠে আসা মিথের কুড়াল, ভীষণ কোপে নেমে গেছে মাথা ও ধড়!
সুপ্রভাত সম্ভাষণে সস্তা জীবন।
রাস্তার মোড়ে মোড়ে প্রার্থনালয়
পলাতক ঈশ্বরের খোঁজে আরো কিছু পাহাড় কাটা যেতে পারে, আরও কিছু পাথর আগলে দাঁড়াবে পথ।
ইতর পরাগযোগে পাওয়া মধু ও মল।
চেটেপুটে খাওয়া হলে ঠোঁট ও জিহবা মন্ত্রপাঠে যৌনতার নিষিদ্ধতায় নিমগ্ন।
মৌমাছিরা ঈশ্বর নয়, তাই তাদের নামে কোনো চূড়া নেই, স্তম্ভ নেই, স্তোত্রপাঠের জন্য নেই পাথুরে ভবন।
প-এর গল্প
প্রেমপত্র থেকে উড়ে গেছে ডানা
একটি প ডানাকে ভালোবাসতো
র ফলার অপেক্ষায় বসে ছিল এ-কার
এইসব গোপন ছিল স্বরবর্ণ সভায় মূর্ধন্য কিংবা চন্দ্রবিন্দু পরস্পর বিরোধে হয়রান।
উঠোনজুড়ে তকতকে সাফসুতরোর প্রলেপ, পড়ার টেবিল থেকে জানালা পেরিয়ে পাখিদের বাগান। অলৌকিক পোস্টবক্সে রেখে আসা চিঠি অথবা ডকাপিওনের অপেক্ষায় আমাদের সান্ধ্য-প্রস্তুতি।
হ্যারিকেনের কাচ, ফিতা অথবা ষাট ওয়াটের বাল্ব ঘিরে পোকাদের চক্রাকার ভ্রমণ।
বিজ্ঞানক্লাসে আলোর গতি, কক্ষপথ, লবণের সংকেত থেকে উড়ে যাওয়া মন খেলার মাঠে, পাড়ার হুল্লোড়ে…
ছিল একদিন। পত্রপাঠ উত্তরের প্রতিশ্রুতি। ইতি এবং স্বাক্ষরের মাঝখানে কোমল অলঙ্করণ অথবা চিহ্নবিশেষ।