সম্পর্ক
ছাগলের চেয়ে বেশি ঘাসের খবর কি রাখে রাখাল?
দৃশ্যত পার্থক্য নেই মাংসের ব্যাপারি আর তোমাদের
কতইবা দূর বলো গোয়াল আর কসাইয়ের দোকান
আদরের ঢঙ্গে তোলা তালু, তালই সরিয়ে রাখো
ভড়ংয়ের চেয়ে বেশি দামি ভিটামিন ডি
জানি তো নিত্যই শান দেও কসাইয়ের ছুড়ি
পেয়ারের রাখাল
মাংসই মেপে থাকো ঘাসের বাগানে
সত্য হোক সূর্যালোক আমার
বাজাও তোমার বাঁশি কসাইয়ের দোকানে।
কাক ও কোকিলের কানামাছি
আমার স্বপ্নে বসন্ত ঢুকে পড়ে
বসন্ত বদমাস
ঢুকে পড়ে।
না চাইতেও।
পাতার আড়ালে ডাকে কু
আর কেঁপে ওঠে সন্তর্পণে আগলে রাখা স্বপ্ন আমার।
প্রাণ-ভ্রোমর।
মরার বসন্ত-মানে কি শুধু মুরগির মড়ক?
পাড়া-ভরা মানুষের বিষণ্ন মুখজুড়ে ফুসকুঁড়ি?
সমস্ত ভবিষ্যত ভরা দাগ, দাগ আর দাগ
দগদগে বসন্তের কাটা খালে এইসব
কানামাছির কোনো ইতিহাস নেই।
যেমন ঠিকানা নেই বানানো কানামাছির
কুটিল কৌশলে গেলা স্বপ্নের
কোন ফরেনসিক নেই কানামাছির
স্বপ্নের শরীরে কে কখন ফুঁকে দিলো অচেনা নাচ
উদ্বাহু বটের স্বপ্ন বৃক্ষের পদতলে নামাস্-
বসন্ত বদমাস-
তুই বদমাস।
নিউ ইয়র্কের আকাশে বিষ্ণুপুরের মেঘ
০১
পথিক মাত্রই অগ্যস্ত।
০২.
কে জানে কেউ ফেরে কি না! ফেরে যারা, তারা কি একই মানুষ?
০৩.
একটু তো দাঁড়াও
চর্মচোখে আরও একটু স্বদেশ মেখে নেই।
স্মৃতির স্বদেশই দেশ, বাকি সব বদলে যায়
সেও, যে ফিরে আসে।
০৪.
কে কাকে ছেড়ে যায়!
ঘোর কেটে গেলে দেখি, যত দূর আমি যাই, বিষ্ণুপুর ধায়।
ঘিরে থাকে বিষ্ণুপুরী অন্ধকার। গন্ধ মেঘ ঝুলে থাকে
বিষ্ণুপুরের মতো সবুজ
পদতলে ভেঙে যায়, প্রেম ভোলে না।
দুপুরের রোদ পড়শী বালিকার মতো আদুরে গলায় কথা কয়।