আরেকটি শীতের নকশা
আয়ুবিদ বসন্ত নিয়ে আমার কোনো ভাবনা নেই।
যা ভাবি—
তাহলো ফুলের ঘরবাড়ি নিয়ে। ভাবি; যে চাঁদের
সাথে রাত্রির দেখা হওয়ার কথা ছিল-তা নিয়ে।
রাত্রি, আমার বোন। একই উঠোনে দাঁড়িয়ে পূর্ণিমা
দেখা সহোদরা আমার। যে একদিন ‘আলো’-‘আলো’
বলে সুরমায় ঝাঁপ দিয়েছিল।
বসন্তের আগে আমাদের গ্রামে যে শীত আসে,
আমি তার শিশিরে রাত্রির মুখ খুঁজি। খুঁজি
সেই সকালের স্মৃতি,যে ভোরের সূর্যকে অস্বীকার
করে পথে নেমেছিল বৃষ্টিরা। বলেছিল; পৃথিবী
মানুষ নির্মিত জল্লাদখানা হতে পারে না।
শীত এলেই আমি খুব একা হয়ে যাই।
কাউকে খুঁজতে চাই।
কিন্তু আমার চিন্তাশক্তি তখন আর কাজ করে না!
বিভাসিত বনাঞ্চলে
পেরিয়ে এলেই মানুষের ছায়াগুলো বিগত হয়ে যায়।
অথবা আলোবিহীন হয়ে গেলে দেখা যায় না মেঘের প্রচ্ছায়া।
তারপরও মানুষ জ্যোতির্বিজ্ঞানে চোখ বোলাতে বোলাতে
জেনে নেয় নিজের সময়চক্র। কোথায় ছিল-কিংবা
কোথায় যেতে হবে আপাদমস্তক।
বিভাসিত বনাঞ্চলে যে লতাগুল্ম ফোটে থাকে, তারাও
গর্ব করে তাদের ছায়া নিয়ে। নুয়ে পড়া বটবৃক্ষের
পাশে তারাও ঘোষণা করে নিজেদের অস্তিত্ব।
জীব অথবা জড় মূলতই অহঙ্কারবাদী। পাতাগুলো
পচে মাটিতে মিশে গিয়েও বলে—
তোমাকেই সমৃদ্ধ করে গেলাম হে মাটি!
সমাপ্ত লোকসভা
আচার কিংবা অনাচার যা-ই বলি
তবুও তুমি সংশোধিত হও—
পৃথিবী হে! রাখো জানালা খুলি
এবং দুঃখীদের প্রণামটুকু লও।
আশ্চর্য বিষাদ দেখে যে শিশু কাঁদে
পিতা তার বনবাসে-মাতৃহীন
তারপরও কেউ তেড়ে আসে
বারুদ ছুঁড়ে-শাণায় সঙ্গীন।
এই ভূমি কার!আশ্রম কিংবা দুর্গ
ঠাঁই যদি না হয়-কিসের স্বদেশ!
একি লোকসভা, নাকি দস্যুদের স্বর্গ
কাদের পরনে এই মানুষের বেশ!