জলডানার মাছ
বড়শীতে নিজেকে গেঁথে তোমার অনিচ্ছার দিকে ছুড়ে দিচ্ছি বারবার
তারপর ডুবে থাকি জলে। ও মাছ আমাকে গেলো
ছিপ হাতে বসে নেই কেউ ঘাটে!
জলে ও স্থলে ডুবে থাকার সময় ফুরালো!
জলের প্রতিবিম্বে জলে দ্যাখো স্বচ্ছ আকাশ দ্যাখা যায়
আকাশের কোনো প্রতিবিম্ব নেই বলেই সূর্যকে ঢেকে রাখে পৃথিবীর পিঠ
মানুষ তার ছায়া নিয়ে ছোটে, দিন-রাত্রির আয়নায়
কেউ-কেউ কদাচিৎ নিজেকে সামান্য চেনে!
ঝরা জামরুল পাতা
কিছুই না, ঘর-সংসার সব যেন কানামাছি খেলা
সারাদিন হাতে ঘড়ি নিয়ে ঘুরি, ছুঁতে পারি না সময়।
বন্ধ চোখে হাতড়াই এদিক-ওদিক
কিছু নেই-_নেই ধ্বনি চঞ্চল হৃদয় বৃত্ত করে নাচে,
চোখ খুলে দেখি প্রতিবিম্বগুলো
নিজেদের আঁকার জন্য প্রস্তুত করছে ক্যানভাস!
শূন্যতার মধ্যে নিজেকে আমি আবিষ্কার করি
ষড়ঋতুর বসন্তে আহা আমিও একদিন ঝরা জামরুল পাতা
হরিণের চোখে
হরিণের চোখে ফুটে আছে বিরহ ঋতুর মায়া
অঙ্কুরিত চিরহরিৎ বনে বসন্ত নেই
অগ্নিকুণ্ডে চলছে তুষার নীরবতা!
সমুদ্রের বুকে নিস্তব্ধতার ঘ্রাণ আর পাহাড় চূড়ায়
অলস শুয়ে থাকে আহত ভবিষ্যত
যার তীর্যক ছায়া দুর্গম খাড়িতে ঝুলছে!
আমি জানি না কতটা অবিশ্বাসে মানুষ নিজেকে
ঠেলে ফেলে দ্যায় কূপে
শরীর থেকে ব্যাবচ্ছেদ করে হৃদয়
তাপিত বুকের ভুল অঙ্ক কষে!
খোলাবাতাসে
চলমান খোলা বাতাসে আমার চোখ দুটো উড়ে যাচ্ছে
কিছুই দেখছি না কিছুই শুনছি না শুধুই তাকিয়ে আছি
চিৎকার-ফিসফাস-পায়ের আওয়াজ-নৃত্য-অভিনয়-কমেডি
সব কিছুই দুলছে; মাকড়শারা হাওয়ায় বুনছে জাল
সবাই দেখছে ক্লিনসেভ ফেসে টোলপড়া মুখের সৌজন্য হাসি
বুকের মধ্যে মুহুর্মুহু মেঘবিদ্যুৎ জ্বলছে তাকাচ্ছে না কেউ
আমি, হৃদয়ের সামান্য স্পন্দন নিয়ে বসে থাকি সমুদ্রসৈকতে
স্বশব্দে কেঁপে ওঠে পৃথিবী, আয়নার মুখ মুখের দিকে তাকিয়ে হাসে