সন্ধ্যার ইলিউশন
কথা বলা শেষ হলে
আমরা দুজন দুদিকে চলে যাবো
হাওয়া এলে যেরকম পাতা উড়ে যায়
পরস্পর পিঠ ঠেকানো দুটি কাঠের চেয়ারে
এসে বসবে হালকা বাদাম খোসা…
সন্ধ্যার ইলিউশন… মেরু প্রদেশের থেকে এসে
মেরু প্রদেশের দিকে ফিরে যাওয়ার
বৈদ্যুতিন নির্দেশ
শেষ হওয়া কথাদের পর ডুকরে উঠবে
কিছু ঘাসের ভনিতা…
মেরুপ্রদেশের হিম..আরও মিথ্যে মিথ্যে তারাদের কথা
একজিট গেটে দাঁড়িয়ে থাকবে ভাবলেশহীন
সন্ধ্যার অতিরিক্ত সারচার্জ
সারা বছরের শেষে
মেঘ জমে আছে
যেন প্রবাদপ্রতীম, সারা বছরের শেষে
এক কোণে
গান বলে যাকে জানি, জমাট হারমোনিয়াম
লোহিত রক্তকণিকাদের চারপাশে জড়ো হচ্ছে বিয়োগের রিড
একখণ্ড তোমাকে পেতেই
এই অব্দি সে টেনে এনেছে
কর্কটক্রান্তি রেখা
খাটালের ভয় থেকে দূরে
শীতের বাতাসে যেখানে
মিশে যাচ্ছে পাখিদের ফ্লু
স্তব্ধতা
শবের আচ্ছাদন পরে শুয়ে আছে
তার নীরবতা যে রকম নিজের নদীর
পাশে শুয়ে আছে চর, ছুঁয়ে আসা
জলের স্মৃতির মতো স্তব্ধতা
আমাকে আকাশ শেখানো একটি পাখি
এ থেকেই দিয়ে গেলো শীষ
এসো ঝাঁপ দাও সুমিষ্ট ফলের ভেতর
সেও আছে জেনে নিভৃত পোকার বিষ…
নিজস্ব
অপরিসীম দাউ দাউ আর ছাইভস্মের মাঝামাঝি
একটি নামাঙ্কিত ফু
এছাড়া কি ছিল আমার?
একটি কাঠের টেবিল, দূরের আকাশ
সরু করিডর, প্রথম মল্লিকাবনের হাওয়া
এছাড়া কি ছিল আমার
তণ্ডুলে তণ্ডুলে জ্বালানির গান
ফুটন্ত রকেট আর মজ্জায় বহুকোষী বান
মিথ্যে সুতোর কাছে বুননের ফাঁস, বৃন্দগান,
হাড়ের কেয়ারি আর কানকোর শ্বাস, দিকচিহ্নহীনা
বলো এছাড়া কী ছিল আমার?
তারা ও মাটির মিশেলে
তারারা তোমার কথা বলে
ঝলসে আছে সারা গায়ে
যাকে তুমি চিহ্ন দিয়েছ
আলোকবর্ষ থেকে এনে
রাত পোড়া শেষে
এই নিয়ে কথাও উঠেছে
লাল টুকটুকে, শীতের সকালে উড়ে যাচ্ছে
ছাই তারা ও মাটির মিশেলে…
আমাদের অজপাড়াগাঁয়ে
দেবতার থানে লোকে জড়ো হয়
এই ঘোর বিস্ময়ে!