তুচ্ছ কবিতা
আমাদের আহার নিদ্রা সব আছে
মাথার ওপর ছাদ আছে
মানুষ নামের নাম আছে
. নামের আছে মান
রুটি আছে, রুজি আছে
ঘর-সংসার? তা-ও আছে
. শুধু স্বপ্ন নেই চোখে
. আর
. বুকের ভেতর গান
সমাজ আছে, শেকল আছে
চলার পথে কাঁটা আছে
. কাঁটা ফোটে পায়
. রক্তে জমিন ভিজে যায়
অন্ধ চোখে আলো আছে
বোবার মুখে ভাষা আছে
মনের দুয়ার বন্ধ আছে
. আহা! পুলক লাগে গায়…
মানচিত্রে দেশ আছে
দেশের বুকে নদী আছে
. —নদীতে রক্ত বয়ে যায়!
. আহা! পুলক লাগে গায়…
শীতার্ত
পাথরের মতো ঠাণ্ডা জমাট ভোর
চেয়ে আছে খোলা চোখে;
যেন কিছু আগে জলে ডুব দিয়ে উঠেছে
শিশিরে ভিজে একসা ঘাস
গাছেদের এলোমেলো মাথাভর্তি কুয়াশাÑজটাধারী
সন্ন্যাসী বলে ভ্রম হয়
অবিকল গরম ভাপাপিঠার মতো ধোঁয়া ওঠে
জলের শরীর থেকে
মনে হয়, উত্তাপও বুঝি পাওয়া যাবে অনুরূপ
তবুও সূর্যের আলোর স্পর্শের আগের
পৃথিবীর মতো কেমন হিম!
শবাধারসম উষ্ণতাহীন হৃদয় নিয়ে হেঁটে যাই আমি…
হাওয়া আসে অরবে, বিষাদপ্রতীম
অনিদ্রা
নিঃশ্বাসের পাশে নিরেট নিঃসঙ্গতা শুয়ে থাকে বিছানায়
তারও পাশে মুহূর্তরা ক্লান্ত টেবিল ঘড়ির টলটলে পায়ে
পা ফেলে, যেন বা উদ্দেশ্যহীন
যুগল সেই পদশব্দে বিজন-বন্দিশে বাঁধা এই একলা ঘরে
চাপা পড়ে রাত্রির স্বর, অসহায়
আলো যত অন্ধকারে লীন!