শরৎ
নদীর উপশাখা ঘেঁষে বিস্তীর্ণ কাশফুল ছেয়ে আছে শান্তির বার্তা নিয়ে
দূরদেশের বারুদের গন্ধ একেবারে ছাপিয়ে গেছে যা
কোনো সংস্থার তোড়জোড় নেই
নেই তোমারও।
কচুরিপানা ফুলের মতো ভাসতে থাকি এ ঘাট থেকে অন্য ঘাটে
ইটকলের গম্বুজের ভেতর তুমিও পুড়ে শক্ত বস্তুতে পরিণত হচ্ছো বুঝি
অনাবাদি জমি কেবল অধিগ্রহণ করতে চায়
একটি শরৎ আবশ্যক।
শরতে
পশ্চিমের জানালা ঘেঁষে বেড়ে ওঠা মানি প্ল্যান্টের ডাল দুটো বেশকিছু শেকড় ঝুলিয়ে জানান দিচ্ছে নিজস্ব পরিমন্ডল। বিছানা থেকে নেমে দু’কদম সামনে এগুতেই যে সবুজের সমারোহ আতসবাজি বাজায় এই জীর্ণ হৃদয়ে তা কোনো কবিকে আন্দোলিত করবে কিনা জানিনা, তবে কোনো প্রেমিক নিশ্চয়ই তার প্রেমিকার সাথে ধুঁয়া ওঠা কড়া লিকার চা’য়ে ঠোঁট ভেজাতে চাইবে। শরতের আকাশ আজ মলিন হয়ে আছে। যেমনটা শেষ ট্রেনে বিদায় নেয়া প্রেমিকের মুখে ফুটে ওঠে, চোখের সামনে যখন প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে প্রেমিকাকে। এবারের শরত ভিন্ন! কাশফুল কেবল গণকবর দেখে প্রেমিকার হৃদয়ে।
শিশুফুল
এ যেন এক মরণ নেশা
পাখি পুষতে জানতে পারলে বোমারু বিমান উড়ে না আকাশে
তবে ফানুস উড়ানো যায়।
হেঁসেল, রংবেরঙের ফুলের বাগান, আতরের দোকান সবকিছুকে ছাপিয়ে দিয়ে গোলাবারুদের গন্ধ যখন শহরের অলিগলি রাজ করে
বোমার খোলসে ফুল ফোটায় কোনো এক দয়াময়ী নারী
যেন এক একটা শিশুফুল ফুটে আছে হিংসায় বিদ্বেষে।