এক.
জিহ্বা—লকলক—শির থেকে ঘাসগামী…
নরোম ঘাস ও শস্যচারা—রাজচিলের মোজা…
মানুষ বাঁকলে—জঙ্গলের ঘন ঘনায়…
চরাচর পাল্টে যায়, বয় লু-হাওয়া…
দুই.
ঘুমের দর্জি ওপাড়ায়
রোগে তরল…
রাবার ও কার্পাস-দাঁড়ায়
সূর্যরস গরল…
—পথে জলপাইশার্ট…
—ফাঁপা ও তিতা খাঁট…
বুকে রাষ্ট্র ও হাতে স্কুল
কচি নেকড়ে পাখি নামছে
বাঁচাতে বাগানের ফুল—
বুকে স্কুল হাতে অরুণ…
পিষছে রাজপথের ভুল…
নামছে পথে নবারুণ
—পথে গান ও গুলি…
—সবুজ ঘাসের খুলি…
অসুস্থরথে শির ও সিস্টেম
জেব্রায় শেম্ আর শেম্…
তিন.
একজন বঙ্গবন্ধু—বিরল জিরাফ ও সিংহের মিশেল মশলা…
দূরতম শুঁততারা—কৌস্তুভসৌরভ ছড়ানো গান—মুখে পাইপ—
একজন বঙ্গবন্ধু—নৌকার মাস্তুল ও দাঁড় ধরে থাকা এক মাঝি…
একজন বঙ্গবন্ধু—গ্যালাক্সির হাওয়ায় কবিতার রশ্মি ছড়ানো
ওরাল কবি—অয়নমণ্ডল জুড়ে তারও একটি ছবি—ঝুলন্ত…
একজন বঙ্গবন্ধু—রাশি রাশি শিরের শির—মুয়াজ্জিন ও মিনার—
একজন বঙ্গবন্ধু—প্রভাতের কাঁচা সৌররশ্মি—বাংলার হরিতাশ্ম—
কোনো নারীর ঘন কালো চুলের রাতে ছড়িয়ে পড়া—বাতিরশ্মি…
ছড়িয়ে পড়া বেলিফুলের রাজনৈতিক সৌরভ ও সংগ্রাম সমাচার…
একজন বঙ্গবন্ধু—চকমকি পরশ পাথর—রক্ত দিয়ে মুক্তি আনা
এক পাগল—মাতৃবিভার ধ্বস্ত এক জনক—একজন বঙ্গবন্ধু…
চার.
চাই, বাঁ-পাশের জহুরা, চাই, ডান পাশের জহুরা—
বিস্তৃত আকাশ হও যেন জান্নাতের হৃদয় তুমি—
পাল্লা দিয়ে পিলপিল করে বও পিরিতির দিকে…
খশবু ছড়ানো সন্ধ্যায়, চাই, জহুরাপদ্ম, এসো—
পিনপতন নিস্তব্ধতায় তোমার সৌরভে গাই—
পিপাসার পথ সেদিন মুছে যাবে কি এক পৌর
সৌররশ্মির হাওয়ায়—আমি কি পাবো সেদিন
হৃদয়ে মক্ষিকার গুঞ্জন ও পারুলের করমর্দন?
চাই, জহুরা, এসো পিলপিল করে পিরিতির দিকে—
চলো সারসের রাজ্য বানাই কোনো এক অশ্লীল
খুনঝরা সন্ধ্যায়…এসো, জহুরা, পিরিতির দিকে—
চাকুন্দার বন পেরিয়ে দেখো—ধু ধু রক্তাভিধান…
হাঁসের প্যাঁকপ্যাক থেকেও সরগরম সন্ধ্যা নামে
সেদিন, জহুরা, তোমার নাচঘরে জমপরা ঘুঙুর—
না-জায়েজ সুবাস পৌরাণিক রাত নিয়ে নিথর—
তবু সমুদ্রে সমুদ্রে কার নাটমহল এতো অস্থির?
কতটুকু দূরে জান্নাত থেকে তোমার সৌরভ—
জহুরা, কী সুরে থামবে জিরাফের নাজেহাল!
ধু ধু রক্তাভিধান ঘেঁটে কী থাকে শেষে অবশেষে?