বিন্দু-পাথর
ও প্রাচীন ট্রাক, তোমার চাকায় পিষ্ট করো আমার মস্তক
গুণটানা দুপুরগুলো হারিয়ে যাওয়ার আগেই বলেছে এ কথা!
নদীতীরে জলতরঙ্গে যখন এসেছিল সূর্য গড়ানো রোদ
দেবীও প্রতিমা হয়ে বালুচরে ছড়িয়ে যায় মিলনের ডাক…
কৃষ্ণের রথের বিপরীতে দাঁড়িয়েছিল এ কালের বিন্দু-পাথর!
ইঁদুর উৎসব
রক্তজবার পথে ছিটিয়ে রাখো আলতার রঙ
এখনই বাজবে ঢোল—করো তবে চামড়া টান
ধনুকের ঢেউলাগা বুকে তাক করো ভ্রূণের তূণ
আজ ইঁদুর উৎসবে কেন সর্প ডেকে আনো!
এ পথে পড়বে পা, রেখে যাবে শতাব্দীর ঋণ
ফাগুনের মাসজুড়ে আগুন ঝরাবে মাটির শরীর।
ধূসরিত
সরষে ফুলের মতো হলুদ হও সমস্ত বিষাদ…
আমার দিগন্তচোখ কতটা গভীরে গিয়ে—
ভুলে যাবে ভূগোলের ভাঁজ—সবুজে মোড়া
ধুলোর ভেতর লুকিয়ে রাখবে জগতের মায়া।
গোয়ালে গরু থাকে, গৃহে থাকে না সন্ন্যাসী
যতটা গভীর চাও—তত পাবে ধূসরিত পথ!
মাটির কবিতা
আমিও তোমার মতো বিষ কিনে খাব—
মহানন্দে মৃত্যু নিয়ে দেখাব জাদুর রসদ!
ওই সুতীক্ষ্ম নখ দিয়ে কেটে ফেলো মায়া
বন্ধনের ছুরি দিয়ে কেটে দাও আঙুলের রগ—
রক্ত গড়িয়ে লিখুক কিছু মাটির কবিতা!
শরীরবন্দিনী
বেদনা দেখে সাজাবে কেন তোমার পাহাড়!
পরজীবী লতা হয়ে বেঁচে থাকি গুহার ভেতর—
কতটা রঙিন হলে ভরে ওঠে তোমার ভুবন!
শরীরবন্দিনী ছেড়ে যাও অলীক আধার…