মনোবাড়ি
মনোবাড়ি মেরামত করি
এমন আঠার খোঁজে
শ্রাবণের ধারাবারি খুব তোলপাড়,
নবাঙ্কুর আঁখি মেলে পলিময় মাটির মরমে
ঝিঁঝিদের ঘর তোলে প্রবল উল্লাসে।
দিকে দিকে জাগে কত নতুন বসতি
দিকে দিকে খাতা খোলে কত লাভক্ষতি
বোকারা বেগার খেটে কুড়ায় সম্মতি
মনোবাড়ি পড়ে রয় মেরামতহীন
জোনাকিও জেনে গেছে জীবন রঙিন।
চোখের আড়াল
০১.
চোখ পড়েছে চোখের আড়ে
চোখ খেয়েছে টান,
পোড়া চোখেই আগুন বাড়ে-
ও অভিধান, ঘুমান।
০২.
মানে তোমার হারিয়ে পাবে
নতুন বিনির্মাণ
দেখার বেশি দেখেই যাবে
সাক্ষী অনির্বাণ।
০৩.
চোখের আঁচে চোখই পোড়ে
অধিক পোড়ে মন
চোখ, সে জানে ঝড়ের তোড়ে
আত্মসমর্পণ।
০৪.
চোখ-দিঘিতে সাঁতার কেটে
ধ্যান করেছি বাদ
নালন্দার ফলক ঘেঁটে
কুড়োই আশীর্বাদ।
০৫.
চোখ দেখেছে লড়াই-কলা
কুরুক্ষেত্রময়
চোখ জেনেছে ঘাটের মড়া
বিদেয় হওয়ার নয়।
০৬.
চাকার ছকে চরকি ছোড়ে
চামচিকিদের ছাতা
ছায়ার আঁচে চোখই ওড়ে
অগস্ত্য যায় মাথা।
০৭.
চোখ খেয়েছে চোখের মাথা
চোখের মহাভুল
আপন কায়া অচিন রেখে
তোলে হুলস্থুল।
০৮.
পাপড়ি পাড়া পোড়ায় যারা
পালক ফেলার ভানে
কারবালাতে কেঁদেই সারা
কুহক ফুটুক ডানে।
রেবেকার মধু
রেবেকা জানে না মধু কতটা দয়াল
দূরদেশ, দূরদ্বীপে দেশান্তরী পাখা
ফিরেছে মনের ভ্রূণে প্রবাহ বিশাখা
বরাবর কোষ বেড়ে বালির প্রবাল
উঠে দাঁড়িয়েছে হেসে ঠাঁটের দেয়াল
এত সোজা ছিল না তো শির সোজা রাখা
শিরদাঁড়া বেয়ে নামে তুষারের চাকা-
সে কি শোনে জগতের যুক্তির ছওয়াল!
রেবেকা দয়ার ঘড়া, ফেরায়নি মুখ
মুখ বুজে সয়ে গেছে মাতৃত্বের দায়
প্রাণের নিক্তি তার যতই নামুক
দায়-দয়াহীন হতে প্রাণে নেই সায়।
বাসাহীন ভালোবাসা ফিরিঙ্গি-বঙ্গাল
রেবেকাই জানে মধু কতটা দয়াল।