রাধা
রাধা, তোমার শাড়ির ভাঁজে জানি শরতের মেঘ জমা আছে! দূরের ছড়ানো ভাঁটফুলে আরও আছে তোমার রঙিন ওড়নার ঘ্রাণ। আর দ্যাখো এ শরতে ছায়া ও ছাতিমতলায় বসে আমি লিখে যাই বনঘুঘুর গান! ধরলা নদীর ধারে খালি পায়ে হেঁটে যায় এক সুরের গায়েন। তার হাতে ধরা জলের দোতারা খুলে উড়ে যায় গহিন পরান। রাধা, তোমার সুরের মাঝে শরতের গান লেখা আছে!
শ্যামাচূড়া
শ্যামাচূড়া তোমাকেই জপি
ঘোরলাগা বসন্ত বাতাসে—
নর্তকের ঘুমের মুদ্রায়
উড়ে আসা ঘুঙুর বিলাসে।
এ বন্দনা তোমারই দিকে
ধূলিপথে সুরের প্রহরে—
কত্থকের কোমল কোরকে
নম্রস্রোতা নদীর কিনারে।
ভাটির কাহনে লেখা আছে
বজরায় ঘুমোন ঈশ্বরী—
জলসিঁড়ি পয়ারের সুরে
কবিঘরে আসে পদ্যপরী।
মন্তব্য