রাতপাখিদের নিঃশ্বাস
পিংক কালার চাঁদের প্রেমানন্দে ছোঁয়
আমার ঝুলবারান্দা
বেলীর জরায়ু,
সঙ্গমসুখের প্রফুল্লতায়
মাতালঘ্রাণে হাসছে বেলীফুল;
বেসামাল রোমাঞ্চকর বাতাসও
উতাল যেন প্রেমানন্দে!
এমন প্রেমাসুখের মহামারীতে
ছেঁয়ে থাকুক পৃথিবীর সব,
আর রাত পাখিদের
নিঃশ্বাসে মাখা থাক প্রেমসৌরভ!
পরমপ্রিয়
রাত্রির মধ্যভাগে আমাকে খুঁজে ফিরি;
অথচ কোথাও নেই আমি!
না আছি শব্দের গভীরে,
নেই হৃদয়পুরের দহনে
যাকে ভালোবেসেছিলে পরম দরদে,
বয়স ভোলা শিশু আহ্লাদে;
তার অবশিষ্ট কিছু তো রাখ।
আমাকে দেখো.
নিবিড় আলিঙ্গনে ছুঁয়ে থাকা অনুভব নিও
ওহে পরমপ্রিয়!
সুখেন্দুশেকড়
নাম না জানা গাছের মতো আমাদের বেনামী সম্পর্কও বেড়ে উঠছে। ক্রমশ শেকড় ছড়িয়ে মিশে যাচ্ছে শিরা-উপশিরায় ড্রাগনফুলে মেখে আছে সমস্ত রাতের আদরালাপ। সুখের প্রশান্তি খেলে একাকীত্বের গভীরে অথচ দুঃখী হবার জন্যই দরদে রাখা ধুরন্ধর শিয়াল।
আমি এখন দুঃখ বুঝি না, কষ্ট বুঝি না, আমি বুঝি মায়ের নরম মুখের আদর, মায়ের হাসি, মায়ের মমতা, মায়ের উদারতা, মায়ের নীরবতা।
একান্ত সযত্নে লালন করা ভালোবাসার সে স্বর্গীয় সুখ কজনই বা পায়! অসীম বিরহে সুখেন্দুশেকড় গজায় শরীরের রক্তকণায়!
আরও পড়ুন:
বইয়ের সঙ্গে বন্ধুত্ব-৯॥ আনোয়ার পারভেজ হালিম