আয়নার অংশবিশেষ
চেয়ে থাকায় দোষ নেই কোনো
কিংবা জেনে নিতে পরিচয়, রাশিফল
জ্যোতিষী না হয়েও বলে দিতে
দোষ নেই,
কবে প্রেম হবে বৃষ্টির সঙ্গে,
কবে—
মানুষের রাজ্যে প্রতিষ্ঠিত হবে
পাখিদের পালকতন্ত্র
ভালোবাসার বৈষম্যহীন শালুক-সময়।
এই তীরে কবে ভিড়বে জোনাকিদের জাহাজ,
তার প্রতীক্ষায়ও দোষ নেই,
ঝরে পড়া নীরবতার হাতে
হাত রেখে মৌন হয়ে যাওয়ার মাঝেই
কৃতিত্ব প্রেমের,
কর্তৃত্ব বিরহের।
অনেক কিছু অসমাপ্ত রেখে
অনেক কিছু অসমাপ্ত রেখেই শুরু হয় সূর্যের অবসর
যে জীবন কখনো পায়নি এই টুকুন সময়—ভালোবাসার,
তার গায়েও কেউ জড়িয়ে দেয় পশমি রোদ, নান্দনিক ছায়া
আর বিপুল রক্তিম বৃষ্টি,
রাঙাতে এগিয়ে আসে কলমিলতামুখর চাঁদ।
অনেক অবসরের জন্য দীর্ঘ জীবনের প্রয়োজন হয়
অনেক চমকে ওঠার জন্য, প্রয়োজন হয় জলশিহরণের
যারা রূপ ভালোবাসে, কিংবা যারা ভালোবাসে উন্মুক্ত বিত্তাকাশ
কেবল তারাই দীর্ঘায়ু কামনা করে
কর্তৃত্বের-কলরবের,
নিরীহ জীবনেরা শুধুই তাকায় একটু আশ্রয়ের দিকে।
যে তুমি মুছে ফেলতে চাইছো বৃষ্টির ছায়া
ছিটিয়ে দেওয়া সম্ভব হাতের তালুতে জমিয়ে রাখা জল।
ফেলে দেওয়া সম্ভব পুরনো কবিতার কাগজে বানানো ঠোঙা।
কেউ না দেখুক—তবুও মেঘের উদ্দেশে
উড়িয়ে দেওয়া সম্ভব সঞ্চিত একান্ত বিষাদ ।
কিন্তু অস্বীকার করা যাবে না পদচিহ্ন। যে চন্দ্রায়নের পাশে
দাঁড়িয়ে তুমি ছবি তুলেছিলে—
তার সাদাকালো ঘোরের প্রাচীনতম দাগ।
জানি, দাগ মুছে দিতে—তুমি মুছে ফেলতে চাইছ
বৃষ্টির ছায়া। উপড়ে ফেলতে চাইছ ঝড়ের শিকড়।
কিংবা বাদলা দিনের বিজলীকে,
হত্যা করতে চাইছ দু’হাতে।
বলি—
মানুষ কি অস্বীকার করতে পারে দাগের দাসত্ব!
প্রেমপতঙ্গ হয়ে যে প্রজাপতি রঙ ছড়ায় স্পর্শের খোঁপায়—
প্রেমিক কি লুকিয়ে রাখতে পারে
সেই কেশসমুদ্র!