ময়ূরসাজ
কোন মুদ্রায় নাচছ তুমি? ধীর লয়ে নামছে বৃষ্টি এই দেশে
যে রীতি বেঁচে ছিল বিম্বিসার প্রাসাদে, অসহায় গৌড়ে
লক্ষণাবতি শুনেছিল যে রাগিনি, তুমি সে ভারত দেশের
নক্ষত্রগুলো ফু’তে উড়িয়ে দাও—আলতা-ঘুঙুরে নমিত জল
কারা পয়ারপূর্ব পৃথিবীর অমিত্র
কোন মুদ্রায় বাঁচবে তুমি? কোন ভঙ্গিতে নামছে বৃষ্টি
তুলে ধরো কল্যাণী হাত,
মাধুরি মেশাও নাচে, এই রাতে; শিকারিরা রেখে গ্যাছে
তূণ ও বর্শাগুলো—মৃগবনে জমেছে ভোজ
ছায়াময়, বৃষ্টি নেমেছে—শোনো। থেমেছে ময়ূরসাজ
ডাক
তোমার অন্তর্গত শিকারি সত্তা আমাকে ডেকে এনেছে
এই ক্রুর শহরে। যার গলিতে গলিত রোদের ধারা
আর গন্ধে ভরে আছে বেডরুম—ইট দেখে পা ফেলতে
শেখা মানুষেরা ডিনারে আমন্ত্রণ জানিয়ে
ফেলে গেছে।
তোমার আদ্যাক্ষর পার হয়ে দ্বিতীয় ধ্বনির দিকে
চলে গেছে ফোর হুইলারগুলো। সেই অতিক্রমণ
থেকে আমিও এসেছিলাম—চোখ ভরার লোভের
জৌলুশ আর ভালোমানুষি অট্টালিকায় ভ্রমণের
আকাঙ্ক্ষায়।
পরিত্যক্ত হওয়ার কিছু আগে তুমি ডাক দিলে।
শীতল প্রণয়ের দিনগুলো
মধ্যরাতে ঘুমিয়ে আছি। বাতাসে রাত্রিসাজ হিম
দূর থেকে, বহু শতাব্দী দূর থেকে স্বপ্নরা পরিযায়ী
এবং অনেক ঘুমের প্রসারণ হলে কুয়াশার ঘোর
কেটে ভেসে আসে আকাশের নিচে উদ্বায়ী ফেরি
যেন শঙ্খ বাজছে, মানুষ জাগছে স্থির বৃক্ষসবুজ
উৎফুল্ল পাখিদের নিদ্রায়।