পরিচ্ছদ
রাতেরও দুপুর হয়, দিন সন্ধ্যায়
তোমার বুকের ভেতর লিখি ইশারায়
শাড়ি তো পরলে অনেক
এবার খোলো।
বসনভূষণ ভারী হয়ে ওঠে—প্রেমে।
সুখাদ্য
শূন্যের মাঝে সব ধরা আছে, সংখ্যার হিসাব আর আমারে
শিখায়ো না, ভুলে যেতে চাই পদ্ধতিসকল নিয়মের। ব্যবহারে
কারে ভালোবাসো, আমি কারে চাই, কখন গেলে ছেড়ে, কবে
ফিরলে। তার পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসাবে মন দেবো না। মানুষ এনে
দাও প্রেমে, মানুষ তুলে দাও পাতে, বিবিধ প্রকারে—
তবে ভালোবাসা যেতে পারে।
আমার ইচ্ছে করে তোমারে কাঁচা খেয়ে ফেলি, তোমারে মিলায়ে
নিই ঝোলে ও ঝালে। তোমারে পোড়ায়ে খাই, তোমারে সিদ্ধ,
তোমারে আয়েশে ধীরে, তুমি প্রেমে ভোগী গৌতম!
নোনতা
জিহ্বা জানে। প্রকৃত তোমারে পান, দমবন্ধ। ভালো লাগে স্বাদ
নোনতা মাত্রই, তোলে কম্পন। দুর্ভিক্ষের এই দেশে। প্রেমে তুমি
ফুরায়ো না। লেগে থাকো আমার। সারা গালে, নাকে-মুখে।
অধিকৃত
আমারে পিষে ফেলো প্রেমে
এ মাংস মাটি মাটি
তোমার কোমল হাতে দিয়ো
নতুন আকৃতি—
ছেনে ছেনে গড়ো সযতনে
নিজের বুকের মাপে
যোগ্য করো, আমারে প্রেমে
দেহ পরিপূর্ণ পাপে
অপার সেই মহাশূন্যের ভার
চিরদিন চিরকাল মনে
মানুষ মুছে যায় সময়ে ধীরে
ভালোবাসা অধিজ্ঞানে!
মৎস্য অবতার
শিশু শ্রেণীতে প্রেম চুমু খেতে পারে, ক্লাস টুতে ভয় ভয়
পড়া তো পাঁচ ক্লাসের বেশি না, তাও লোকে ফেল করে
ঝরে পড়ে স্কুল থেকে। তাদের আর প্রেম শেখা হয় না
সারাজীবন মূর্খ থেকে যায়, বলে কপালে নাই, কী করা
মানুষের ভালোবাসা দেখলে মনে হয়, মাছের বাজার।