ছায়া দীঘল পাঠ
ওমপাড়ায় আমার চাচা বাড়ি;
তাদের উঠোন-অন্ধকারে
প্রতিদিন একটি রাজহাঁস এসে
কিসের সোনালু ডিম পেড়ে যায়
ছন্দমাখা পায়ের ডাঙুলি ঘুরিয়ে
পাখির উল্লাসে সেই-যে লাফ!
তখনই বুঝতে পেরেছি
শুধু মানুষ বলে কথা নয়;
এই পৃথিবীর এমন সম্ভাবনা
ঐশ্বর্যের পেছনে, পশু আর
পাখিপ্রবরের দারুণ অবদান আছে;
আছে ইকো-ধ্বনি বস্তুবিদ্যা
সভ্যতা আর মহাদেশ।
কিভাবে ঘোরাও কনুই-বাঁক
চোখের নজরে মুছে ফেলো এই সব
সহযাত্রী প্রাণীকূলে পায়ের চিহ্ন।
মোহপাতার ফুল
তোমার কেদারায়, অভিজাত রঙ ছড়িয়ে দিয়েছে
ও-হাওয়ার বাতাস।
প্রতিদিন অসুস্থ লঙ্কাজয়, চর্যা-যাপনে ধরেছি
বহুজাতের ছটা।
কনুই ধরে উঠতে পারছি না, মাটিজাত সাহসের নুনে।
বাবুসোনা পরাণমিয়া
কত বছর ধরে তাকে বুকে জড়িয়ে
রেখেছি, অথচ কেমন করে কী হয়ে গেলো!
সেই যে এক পশলা রাতের ঘুম,
বহুদিনের কাতরতায় এত কিছু
বদলে গেছে, বুঝে উঠতে পারিনি।
ছবি
বাতাসে ভাসছে নদী ও মাঝি-ভাই
অমসৃণ সোনালু মাছের লুই;
এ অসহনীয় মেহ-রোদ নকশাপত্রের ভাঁজ,
তোমার ছবি-গানেও ছড়িয়ে পড়েছে।
পুরনো অভিশাপ, কৌম গন্ধের পলি
নাকে লাগে; দু’চোখের শরমিন্দা
আঙুলে-তাই পঙ্কিলতার ঘা ধরে
বসে আছি
তোমার প্রযুক্তি-বর্ণমালার তুমুল গলায়
কর্কষ্য রোদ: কবে আসবে? এই শ্যামল
পৃথিবীর ধ্যানে, রোদেল প্রীতি-ডোর
ভরিয়ে দিতে।