পুণ্ড্রবর্ধন
এই অগ্রহায়ণে সে আছে ঠোঁটের আবদারে
এখন ঘন বায়ু মরণ আচ্ছন্ন করে আছে। এই বায়ু উপাদেয়,
এই বায়ু উপমেয়। ছোট্ট পাখির লোভ ভিড় করে আছে।
ঘাটের মিনার খুলে বক্ষে সাজিয়েছি ফাঁদ—আঘাত।
এত কাছে মশলার স্লোগান! ঠোঁটে তুলে নাও দু’একটি
ধ্বনির ফ্যাসাদ।
উত্তল-অবতলে টুপটুপ মৃদু ভার্সন। এখন মরণ—রাত ফাটা
রসের বন্দর। এই স্বাদ অমলিন। এই ক্ষণ ফুরাচ্ছে না।
তোমাকে আঘাত করছি মহাস্থান—হে প্রেমের পুণ্ড্রবর্ধন।
নাচের মহিমা
দুধের থেকে সরে গিয়ে ছোট্ট মাছিটিও জ্ঞান করে,
ভাণ করে। সুযোগ্য সময়ে সে ছড়িয়ে দিয়েছে প্রীতি।
তার নাচের ব্যঞ্জনা অন্দরে জমা করা আছে। মুকুলে
মুকুলে রয়ে গেছে শোভা।
অযুত দ্বিধার থেকে উঠে এসে তুমিও এক নৈশ্য ভাণ্ডার—
হননের সাজে গলনের অপেক্ষায় একরাশ ফূর্তি ফাটাও।
মাছির মতোই অবলীলা—দুধের ননীর চেয়ে ধূর্ততাল—
তোমার নাচের ব্যঞ্জনা বন্দরে ভিড় করে আছে।
হননের সাজে আমিও কদাচিৎ যেতে চাই মন্দিরের কাছে।
মোকামতলা
হাঁটার বাসনা অধীর হচ্ছে। প্রাণের ভেতর সুগন্ধী দহকাল।
সমস্ত আঁচড় কেন যে মাধুডাঙার তীরে দুমড়ে উঠছে।
ভ্রমের পাখির আওয়াজ আমাকে বন্দি করেছে।
যেন পদ্মার খরস্রোত কণ্ঠে তুলে নিয়েছি। ঘাসেরাও
মর্মরে মরে। ভাঁটফুলের বাগান জ্বলে-নেভে।
আবর্তন করছে যত গোলকধাঁধা, আমি তার ঘূর্ণনবিদ্যা বুঝি না।
সময়ের, পরানের কাটা ঘড়ি খুললেই একসঙ্গে হবে লালনের ক্রীড়া।
গুঞ্জরণ যত তা ওই ভাঁটফুলের, সুগন্ধী দহকাল তা ওই মাধুডাঙার।
ভাবছি, এও এক রসের মোকামতলা। আধেক ফুটে আছে লীলা—