ভুল অঙ্ক
এবং যারা বিবাহ করে তারা সকলেই বিবাহিত নয়,
সূত্র ধরে, অঙ্ক কষে বুঝিয়ে দেবো
দুই দু’গুণে এক
অথবা দুই দু’গুণে তিন।
একসাথে একটি যৌথ স্বপ্ন লালন,
একসাথে ভ্রমণ, এক বৃষ্টিতে ভেজা বা চা-চুমু
একসঙ্গে সহবাস কিংবা সঙ্গম
একসঙ্গে এক বিছানায় শুয়ে থাকা
অথবা ঘুমানো,
বিবাহ নয়!
জগতের সকল প্রাণীকূল উল্লিখিত কর্মে জড়িত
তারা বিবাহ নামে ভণ্ডামি করে না।
আমাকে যে সব অঙ্ক, মানসাঙ্ক শেখানো হয়েছিল,
তার অধিকাংশই গণিত, বীজ-গণিত এবং বীর্য-গণিত।
স্বামী Sex করে
মেয়েটির কথায় মেশানো মধুবিষ
মাধুর্য আর বিষাক্তের ঠোঁটকাটা তার কথা কাটা কাটা কাঁটাচামিচ
ধারালো নারীবাদী।
ধোঁয়া ছড়ানো; ভেতরে ব্লেড।
স্বদেশি ফুলন দেবী নিয়ে বানাচ্ছে বিতর্কিত শর্টফিল্ম।
ফিল্মের শর্ট নিতে নিয়ে টাকিলা শর্ট;
তার ছড়ানো ধোঁয়া মিশে যায় মেঘের সাথে; ভেতরে ব্লেড।
ধর্ষকের ব্যবহৃত কন্ডমের কাণ্ডে হো হো করে হাসে
ধোঁয়াটে স্পটে বসে ভাবে স্বামীর সম্পর্ক—
শীৎকারে ভেতর কেন মিশে থাকে আবেগ মিশ্রিত কিছু কান্না?
এই সব ভাবতে ভাবতে, ভাবতে থাকে
‘শুক্রাণূসমৃদ্ধ বীর্য দিয়ে তারা মা বানিয়ে দেয়।’
ভাবতে থাকে, সেন্সর বোর্ডের খতনা করানো কাঁচি!
ধোঁয়াটে স্পটে ধোঁয়া জেরুজালেমের উড়ছে,
পুড়ছে সিগারেটের পুটকি
শুটিংয়ের ফাঁকে রিপোর্টারের ইন্টারভিউ:
‘আচ্ছা, আপনার স্বামী কী করেন? তিনি কি অভিনেতা?’
হাসতে হাসতে মেয়েটি বলেঃ আমার স্বামী Sex করে!
মৃত মৃগ নদী
আমাদের ছোট নদী স্থাবর-অস্থাবর ভিটেমাটি হারিয়ে উদ্বাস্তু
বৈশাখ মাসে তার গোড়ালি জলও থাকে না।
নীড়হারা নদী; তাকে নিয়ে কেউ ভাবে না।
ভূমিদস্যু, জলখেকোরা অদৃশ্য হয়ে মিশে থাকে বাতাসে।
আকাশের আদালতে মামলা করার
উচ্চতা নেই।
সংখ্যালঘু মৃত মৃগি নদীর আর কোনো অস্তিত্ব নেই,
শুধু পাঠ্য বইয়ে পাতায় পড়ে আছে মৃতমাছ,
নদীমাতৃকতার সন্তান।
মৃগি নদীটি পৃথিবীর দীর্ঘতম পূর্ণদৈর্ঘ্য নদী মেকাঞ্জির কাছে
চেয়েছিল বেঁচে থাকার এক নদী জল;
জাস্টিনের কাছে চেয়েছিল অভিবাসীর আশ্রয়!