বাবাকে ডাকি
বাবা যখন গান গাইতেন
ঘরে ছায়া পড়তো পরীর
বাবাকে বলতাম, পরী নেবো
তিনি বলতেন, গান নাও
আমি বলতাম, আমার কণ্ঠে সুর নেই
তিনি বলতেন, গান কণ্ঠের কাজ নয়
রক্তমন্থন হয়ে আসে
আমি বলতাম, সবাই তো বলে
বাবা বলতেন, সবাই বললেই সব হয় না
এরপরও আমি পরীই চাইলাম
বাবা আমার মন ভাঙলেন না
এখন প্রতিবারই গান তোলার
চেষ্টা করলে গলায় পরী আটকে যায়
এই দশা কাটাতে বাবাকে ডাকি
রক্তমন্থন হয়ে উঠে আসে তার কবর
অমানুষ
অমানুষেরও নিজস্ব ধারণা থাকতে পারে
সেই ধারণায় তুমি কতটা অমানুষ নও
অমানুষেরও হাত ধরার তফসিল থাকতে পারে
তোমার হাত কতটা নিখুঁত
অমানুষেরও রক্তাক্ত ক্ষয়ক্ষতি থাকতে পারে
তুমি তো মানুষ
তোমার কোনো রক্তপাতহীন ধারণা আছে কি
মানুষ সম্পর্কে
মৃত্যুবর্ণ আমেরিকা
একজন ফ্লয়েড কতটা কালো
মৃত্যুর খল-অন্ধকারের মতো
একজন ফ্লয়েড কতটা কালো
ঘার চেপে ধরা কাতলার চোখের মতো
রাষ্ট্রীয় সনদে পুষ্পহত্যার মতো
ফ্লয়েডের মুখমণ্ডল কতটা বিপজ্জনক
তার ঘাড়ের রগ কতটা চওড়া
মধ্যপ্রাচ্যের তেল নেয়া ড্রেনের মতো
জর্জ ফ্লয়েড যে, সেই কৃষ্ণমানুষ
যার শস্য রক্তাক্ত করেছে কলম্বাসের চাকু
হ্যাঁ, একজন ফ্লয়েড ততটাই কালো
যতটা সম্ভব মানুষের জঙ্গল ছিল
সেই জঙ্গল জখম করে
ফলানো হয়েছে কঙ্কালের বাগান
যার নাম-মৃত্যুবর্ণ আমেরিকা।