মায়া এক মিথ্যা শব্দ
পাখিদের মৃত্যু রাষ্ট্রের গোপনীয় বিষয়
চেনা-জানা কত পাখি আসেনি ফিরে!
তবুও আজ হদিস চাই এক অস্থির জোনাকির
যে আমাকে নিয়ে এসেছে পথ দেখিয়ে।
জোনাকির খবর রাখে কে, কোন দপ্তর!
কত জোনাকি নগর ছেড়েছে, ছেড়েছে অমাবস্যা।
এত আলো ভালো লাগে না।
চলো, অন্ধকারের মাঠে…
সুখী-নারীর ছদ্মবেশ রেখে
নেমে এসো এই অক্ষিপল্লবে…
আমার অক্ষিপল্লব পাখিদের বৃদ্ধাশ্রম,
জোনাকির অন্ধকারের মাঠ।
যাদের বলেছি-তোমার জন্য মায়া হয়। ভুল বলেছি।
প্রকৃতপক্ষে বলতে চেয়েছি-আমাকে মায়া করো।
যে দেশে মাঠে থাকে না অন্ধকার
জোনাকির মুখে থাকে না হাসি।
সেদেশে ‘মায়া’ এক মিথ্যা শব্দ।
প্ল্যাটিনাম-ব্লেড এবং রক্তশূন্য-হাত
বরফের টেবিলে হীরকের ছোরা
কার ছায়া কাটছ আয়নায়
চেয়েছিলে ধূসর দুটো চোখ
তোমার হাতে আমার দেহখানি।
আমি সেই বিষণ্ণ দুপুর, আকাশের চোখ
উড়ছে আকাশে মিগ অথবা চিল
খুলে দাও মুঠো ছোঁ মেরে নিয়ে যাক
থেকেছি অনেক খুদ-কুড়ো খুঁটে খুঁটে।
বসে আছে শিশুরা দুপুরের অপেক্ষা
মুঠো মুঠো ধুলো নিয়ে বানিয়েছে নদী
কেঁপে কেঁপে যাচ্ছে ডুবে প্ল্যাটিনাম-ব্লেড
রক্তশূন্য-হাত আমার দুটো চোখ
জলোচ্ছ্বাস
গুছিয়েছ অনেক ঘর-দোর
পেতেছো শয্যা অনেক
গোছাও এবার নদী
রাখো কচুরিপানা কপালে কাজল
পশ্চিমে যাও গোকর্ণঘাট
মাছেরা গিয়েছে কাঠমুন্ডু
ডাক দাও আসবে নেমে
কৈবর্ত দলে দলে ।
কে ডেকেছে আমায়?
কার ডাকে ছেড়েছি ঘর
কালাছড়া-চম্পকনগর
কেউ থাকে না আমার
তবু কেন
পড়ে আছে সহস্র পদচিহ্ন।
একবার ডাকো কাছে
চলে গেছে দূরে
দরিয়ার শরীর দুপুরের উঠান
আটকে আছে মৎস্যকুমারী
তিতাস নদী কারেন্টজাল।
ওহ, জলোচ্ছ্বাস! ডাকো একবার-
একবার ফিরে আয়…