নিঃশ্বাস পতনের শব্দ
বিষণ্ন অন্ধকার কাটিয়ে আর কতদূর যাব আমি
মাঝরাতের বিশ্বাসগুলো বাতাসে উড়ে গ্যাছে নিয়তির আকাশে
শুধু ঘাতকের ছায়া দাঁড়িয়ে আছে এইখানে
যেন সকল অপেক্ষার পালা শেষ—
আজও আমি অতীত নিঃশ্বাস পতনের শব্দ শুনি
নয় মাসের কড়কড়ে প্রহরবাতি আমাদের জাগিয়ে রেখেছে সারাক্ষণ
প্রতিটি রাত্রে—যে রাত্রের নগ্নবাতাস মাড়িয়ে কেউ ঘুমোয় না এখনো
শুধু জীবন পাতার প্রতি খাতায় ইতিহাস রচিত হচ্ছে আর
শত বছরের যুদ্ধ শেষে অপেক্ষার সেই বত্রিশ নম্বর বাড়িটি পাহারা দিচ্ছে জনতা
স্বপ্নপোড়ারোদ আর সুবর্ণ বাংলাদেশ
একাত্তরের লালচোখে স্বপ্নের রঙে শূন্যতার ফুল ফোটে—একটি ফুল একটি দেশ একটি নাম বাংলদেশ। সুখের পদাবলিতে মাটির বিভাজনে নিজেকে চিনি আর ইতিহাসের বয়স বেড়ে যায়। আর বয়সের শাদাকালো আগুনে মন-হৃদয় পুড়ে পুড়ে মাটির বিশ্বাসে যৌবনবর্তী হয়ে উঠছি। আমরা চুয়াল্লিশ বছরেও দুঃসময় কাটিয়ে উঠেনি কেউ। অথচ পূর্ণতার চাঁদত স্বপ্নপোড়া রোদ নিয়ে দিগন্তের ছায়ারা পাখি হয়ে উড়ছে—বৃক্ষের জীবন এখন এক অনন্ত স্মৃতির বিদগ্ধ স্বাধীনতার। দৃশ্যবদল জলের আগুনে কিংবা ক্রোধের উন্মাতাল বীজে আতঙ্কিত।
স্বপ্নের কৃষ্ণপক্ষ আজ উপেক্ষিত। এখনো যতটা না যুদ্ধ মাঠে—তারও চেয়ে তুমুল মনে অলীক হিরন্ময় হৃদয়ে ভাষার বিস্ময়ে আর মুহূর্তের স্পর্শের অন্ধকার খঁচিত সময়ে।