মড়কে আক্রান্ত বীজ
কোথাও দেখছি না তো নতুন বীজের আভা
শুদ্ধ বীজ ছাড়া বল কিভাবে মিলবে চারা?
বিশুদ্ধ জমিনের অভাব! সব হিংস্র লাভা
জুলুম বেড়েছে বলে ঝরে আকাশের তারা!
কারা তবে রাখবেন? সঞ্চয় করবে ফল
শুকিয়ে ফাটছে নদী কোথায় সুস্বাদু জল?
স্রোতের টানেই যেন গা ভাসানো হাব-ভাব
কোথা কারো দায় নেই সব উলম্ফ স্বভাব!
পাখির গানেও যেন সুর নেই—সব মিছে
কেউ কিছু বলে নাই, কথা যেন ফুরিয়েছে
দেশেপ্রেম চেতনার কথা—বুলি হয়ে গেছে!
সাপের খোলস ছেড়ে তারা রূপ নিছে বিছে
মড়কে আক্রান্ত বীজ, নেইতো কিছুই খাঁটি
কোথাও কি আছে ছাই? সকল হয়েছে মাটি!
মাটির আতর
সীমান্ত মানি না আমি—মানি নাকো দেশ
জাত কবি চিনে নেয় পৃথিবী স্বদেশ।
ভেতরে আকাশ তার—বাহিরে বাতাস
ধ্যানীঘুঘু সুর খোঁজে, উড়ে পাতিহাঁস!
পুঁটি মাছে লাফালাফি—রাঁধবে বাগুন
আড়ালে কোকিল আমি ডাকব ফাগুন
ইঁদুরের অস্থি দেখে—হেসেছে বিড়াল
খাঁটি নমঃশূদ্র আমি জন্মেছি চাড়াল!
কারা ওই ইতিহাসে কাটছে সাঁতার?
চিরদুঃখী জন্মভূমি অকূল পাথার!
আমার সবুজ দিলে লালিভ মলাট
প্রতিবাদে কবিতার পেতেছি ললাট
হতভাগা হিংসুটে হয়ে যাবে চিল
আমার বিশ্বাসে ঠাঁই সবুজাভ হিল
মনের দোয়াতে ভরা মাটির আতর
তাই দেখে শত্রুপ্রেমী হয়েছে কাতর
ভেতরে বিছানো হিরে, ক্ষমার জাজিম
কখনো আগুন আমি আলিফ ও মীম!
কোলাহল
হইচই মুখ্য যারা—কবি বদনামে
তাদের শরীর ভরা প্রেমহীন কামে
তারা তো কবিই নয়—ভনিতার ভাঁড়
ব্যর্থতা লুকাতে গিয়ে বনে গেছে ষাড়!
রাষ্ট্রের পা চাটে তারা—হনু দেশপ্রেমী
অজ্ঞান জানে সে তবু লিখতেছে যা তা
মূর্খের দেশেতে যেন রাবণের ন্যাতা
সূর্যকে ঘায়েল করে মোমবাতি-টেমি!
স্মরণ-বরণ করে খ্যাতি তার চায়
কোলাহল পান ছাড়া নাইতো উপায়
আমি তো রাতের মাছি নাই ভনভন
নির্জন শীতের মতো পুড়ি কনকন!
বুকে ঘৃণা পুষে বেচে প্রেমের আচার
দুকলম লিখে নাকি সাজে কবিবর
দেখবে তাদের দলে ভিড়বে প্রচার
ডিমহীন মুরগীর যেন—করকর!