মাটন রোলের মতো কম্বল মুড়ে ঘুমায় লোকটি
মাটন রোলের মতো কম্বল মুড়ে ঘুমায় লোকটি
অদূরে অচেনা গাঢ় কালো ছায়া
ওড়না ঢাকা প্রেতনীর মতো লাগে সব কিছু,
জ্যোৎস্নামাখা পৃথিবী এখন দূর প্রবাসে ।
রোদ পড়ে গেলেই ঝাঁপিয়ে পড়ে শীত হাঁ হাঁ করে
নাকের ডগা চিনচিন, হিমসুঁচ বিঁধে যায় শরীরে ।
তাপ উত্তাপের তেলেসমাতি বোঝা দায়
ঋতুচক্রের কূটকচালি আমাকে ভেঙে চলে,
আমার সময়কে ভেঙে চলে
আপন সময়ের মায়াকাজলের সাক্ষাৎও মেলে না ।
আলো ছায়ার ভৌতিক খেলা দেখতে দেখতে
নিঃসঙ্গ আমি আরও নিঃসঙ্গ হয়ে যাই
মানুষের বলয়ে থাকলেও নিঃসঙ্গতা ঘুচে না
বুকের সব উদ্বেগ নিয়ে আমার দিনপঞ্জি
শূন্যে ঘুরতে থাকে।
মন মেজাজে লম্বা লম্বা ধোঁয়া
কোনো কিছুই আর নয় হৃদয় ছোঁয়া ।
লাভ ইজ দা বেস্ট স্টিমিউলেটার
চাঁদ মেঘে ঢাকা গেলে
মাথার উপর পান্ডুর চাঁদ ঘুরলে
এক ধরনের সলিটারি জায়গা করে নেয়
এর আগে ক্র্যাক করে যায় ফ্যামিলি লাইফের পিলারগুলো ।
মেন্টাল প্রবলেম সব ডিজেনারেশান হয়ে যায়
পাহাড়ে ছুটি, নদীতে ছুটি, সাগরে ছুটি
নিজেকে নির্বোধ মনে হয় ।
হাঁটু কাঁপে যখন তখন
থুম হয়ে বসে থাকি কখনো কখনো
জলতরঙ্গের মতো মেয়েটিকে
কখনো শাঁকচুন্নি, কখনো পেত্নি বলে মনে হয় ।
নৈব নৈব চ
তবুও টুঙ করে বাজে মেয়েটি
বাষ্পের ছোঁয়াচ মাখা মেয়েটি
নিজের অস্তিত্ব জানান দিতে ভুলে না
দেনাপাওনার কারবার ফুরিয়েছে কবেই
এখন আমি নই বাসনাতাড়িত অনেকটাই ভাবনাতাড়িত ।
নদীর খোলা বুকে ঘুমিয়ে পড়ি
শুক্লা চতুর্দশীর চাঁদ কেমন
আশ্চর্য মায়া ছড়িয়ে
মানুষের মনে কতো আকাঙ্ক্ষা জাগায়
বুকের ভেতর মুচড়ে ওঠে;
গাঢ় কালো ছায়ায় থেকে
চাঁদের বোঝা মাথায় নিয়ে হাঁটা যায় না ।
উলঙ্গ আতঙ্ক ছায়া ফেলে যখন তখন
নায়াগ্রা জলপ্রপাতের টগবগে
প্রবাহ টের পাই না আজকাল
জ্যোৎস্না কেমন ছায়া মাখা হয়ে থাকে
সে বিষয়ে আমি জানি না কিছুই।
মানুষের দ্বীপে পাহাড়ের গন্ধ পাই
নদীর মতো এঁকে বেঁকে চলে সব কিছু
অর্জুন গাছকে জড়িয়ে বোগেনভেলিয়ার লতা দেখতে দেখতে
নদীর খোলা বুকে ঘুমিয়ে পড়ি।
মানুষের ছায়া শহরে, মায়া শহরে আমি নেই
জলকেলি করে নদীর এ ঘাট থেকে ওঘাট
শান্ত নদীতে ভেসে বেড়ানোর আনন্দ
নিশ্চুপ নির্জন ড্রপিং পয়েন্ট
গাছের মাথায় গুচ্ছ গুচ্ছ পাখি ওড়ে ।
ছবির নিসর্গ সময়েরই পরিপূরক
প্রণয়ের বাঁকে বাঁকে কত কত জটজটিলতা
শীতের রাতে উষ্ণতা উত্তেজনায়
কী কী কাজে লাগে:
কে জানে?
গরম মশলা, তেজপাতা, কিশমিশের চায়ে ঠাণ্ডাকে এমব্রয়ডারি করা যায় না।
নেচার অর স্পেস অ্যান্ড টাইমে
আমি নেই, আমার নিউ মাইন্ড নেই,
বুকটা ফাঁকা হয়ে গেছে কবেই
মানুষের ছায়াশহরে, মায়াশহরে আমি নেই ।
রাত শেষে আসে না প্রিয় ভোর
পোড়ামাটির মূর্তি দেখলে প্রত্নতত্ত্ব দাঁত বের করে হাসে
হাওয়া আঁকড়া হয়ে যায়
হিজল পাতার ছায়ার নিচে
স্বপ্ন ভাঙতে থাকি বসন্তকুসুমে ।
শব্দভাঙা শুঁড়িপথ বেয়ে
গুচ্ছ গুচ্ছ কবিতা আসে
তারারা মেঘে হাবুডুবু খায়
অন্ধকারে আমার সব হারায়।
পৃথিবীর রৌদ্রজলে অনেক প্রশ্ন জাগে
শিশিরের আলিঙ্গনে রোদে কিংবা জ্যোৎস্নায়
কত কত রঙের ফোঁড়
রাত শেষে আসে না প্রিয় ভোর ।