উর্বশী তোমাকে
বাউকুমড়ো বাতাসে তুমি উইড়া গেলে
শুকনা পাতার মতো তোমার পিছে পিছে ছুটি
মনের কান্দন নিয়া যে সুখ
ভাইসা বেড়ায় মেঘের লগে; তা বৃষ্টি হইয়া পড়ে
বৃষ্টি শেষে—
কচুপাতার শইলে তুমি জল হইয়া থাকো
যেন আমার বুকের মইধ্যে নদী শুইয়া আছে
শহরধোয়া এক স্নিগ্ধ যৌবন নিয়া থাকো
যেন স্বর্গ থেইকা হুর সামনে আইয়া বইছে
গেরাম থেইকা পরথম শহরে আসা যুবকের
বিস্ময় নিয়া চাইয়া চাইয়া দেখি…
আকাশে শশী জোছনা বিলাইলে
বাড়ির উঠানে তোমার নাচন দেখা যায়;
তখন তুমিও কি আমারে দেখো, এক পলক?
শিরোনামহীন
বললে আকাশ, মেঘের কাছে গেলাম
বললে মেঘ, বৃষ্টি হয়ে এলাম
বললে বৃষ্টি, ঝড়ের বেগে ছুটলাম
বললে ঝড়, বজ্র হয়ে ফুটলাম
বললে পাহাড়, ঝর্ণার কাছে গেলাম
বললে ঝর্ণা, জল হয়ে এলাম
বললে জল, নদীর কাছে ছুটলাম
বললে নদী, প্রেম নিয়ে ডুবলাম
বললে জীবন,জীবনের কাছে গেলাম…
জীবনকে ফুলের মালা বানিয়ে,
গলায় ঝুলিয়ে ফিরে আসতে আসতে দেখি-
তোমার গলায় ঝুলে আছে অন্যের বাহারি জীবন।
স্যরি
তোমার অনেক ইগো ছিল
এতই বেশি ছিল যে,
তোমার সাথে কথা বলা যেতো না
যেন একটা নেড়ি কুকুর
একজন মানুষকে উদ্দেশ করে ঘেউ ঘেউ করছে….
আমাদের তুমুল ঝগড়া হতো
তুমি ভুল হলেও তোমাকে ঠিক বানাতে
সবসময় স্যরি বলতে হতো আমার
যা ছিল তোমার একমাত্র জেদ
প্রেমিক হওয়ার পরে
আমি তাই লক্ষ কোটি বার স্যরি বলেছি
সেদিন রৌদ্র দুপুর
আবারও তোমার ভুল
রাগে আর ক্ষোভে মৃগী রোগীর মতো কাঁপছিলে…
বলেছিলে,
‘ভুল স্বীকার করো, নইলে ছেড়ে যাবো’
জবাবে তোমার মুখে সিগারেটের ধোঁয়া ছাড়তে ছাড়তে বলেছিলাম, ‘আই এম স্যরি।’