বারান্দা লক্ষ করে
তোমার বারান্দায়
রোদ, নাচে তালে অবিরল
বুকে বয় ভীরু নদী, দেহ দোলে টলমল
তুমি আরও কাছে আসো, যতখানি আসা যায়
তুমি আরও ভালোবাসো, যতখানি বাসা যায়।
মকর
যখন আমরা তোমার
ছিলাম আকাশ এবং মাটির জলে
গঙ্গা তখন স্বর্গ হয়ে যাচ্ছিলে পাতালে;
তবু
শাপ লিখে দেয় কপিল মুনি
যেন আত্মা ভগীরথ
অনন্ততর প্রেতের জন্ম, মৃত্যু কেবল সৎ!
প্রশ্ন রাখি
ভালোবাসো
দেবী, তুমিই তো জাহ্নবী
ধ্বংস হলেও সকল থাকে, শান্তনুসম্ভাবী
রাখবে যদি রাখো, জটায় সাক্ষী মহেশ্বর
শুশ্রূষাতে পাপী শরীর—প্রেমেতে অন্তর।
অন্ধকার রাতের বৃক্ষ
নিঃসঙ্গ বৃক্ষ কয়:
আমার যে কোনো গল্প নাই
তবু তার প্রতি প্রার্থনা আছে সামান্য;
সম্পর্ক
কারে বলে, জানে কি জীবন?
জানা নাই যদি থাকে
তবে কোন দুঃখে কাঁদে একাকী মানুষ
হাসি হাসি মুখে সারাদিন!
যে বৃক্ষ বয় ক্ষত
তারে ডাকি অবিরত,
যে বৃক্ষ সূদূর
তারে বলি চলো যাই আরও আরও দূর,
যে বৃক্ষ বলে
কোনো গল্প নাই
তারে বলি মিথ্যুক চলো ভোরের বেলায়
লতা হয়ে বাঁচি, মানুষ তো
দেখা হলো। এবার পাহাড় হয়ে যাই।
সূর্যমুখী কচু
হৃদয় যেমন চায় তেমন কিছুই-ই হয় না
কেবল ঘরে নষ্ট হলো সূর্যমুখী কচু
তারে ডাইলে খাওয়া যেতো
তারে টাটকা ইলিশ মাছে
তারে হালকা ঝোলে ভুনা;
সেসব কিছুই-ই হয় না। অবুঝ
প্রাণ মেয়াদ ফুরায়, শুধু সময় ফুরায় না।
নৈর্ঋত
পালায়ো না রাক্ষস—প্রিয়
অতখানি পাপী নই,
তোমার
সুবিধে ভেবে
মেলেছি নৈর্ঋতে, দেহ
সামান্য
করো দয়া, একা দ্বিপ্রহরে।