ভবিতব্যের গুঞ্জন
বাগানভর্তি ফল সামনে নিয়ে এমন এক ভবিতব্যের দৃশ্য আঁকলাম, যেখানে টানটান উত্তেজনা গিয়ে মিশেছে একটি ‘তুমি’তে। তুমি মানে অবিনশ্বর এক আলোকশিখা; রূপান্তরের জটিল হাওয়ায় বিবর্তিত চিত্রকল্প; নতুনত্ব আঁকতে গিয়ে কিছুই আঁকা হলো না ভেবে, জলভর্তি একটি টবও রেখেছিলাম ভবিতব্যের বিস্তৃত দরজায়। এখন দরজাজুড়ে প্রণয়, রূপকথা, আলো ও যুদ্ধ খেলা করে। ক্ষমতা ও অহঙ্কার নতুনকে আহ্বান জানায়, আর ভিন্ন ভিন্ন ঋতুতে প্রশংসা করে অন্ধকারের। আমি কী পুনর্জন্মের বাসনায় আলিঙ্গন উদ্যত হয়েছি কখনো?
ভবিতব্যে আমি একটি শীতসন্ধ্যার গল্প বুনতে চেয়েছিলাম; বুনিয়াদি জীবনবোধে ঠাসা উপপাদ্যের ভেতর নিরন্তর ঠেলে দিতে চেয়েছিলাম মৃত্যুকে, আমার ‘আমি’কে; শুধু জানা হবে না, প্রণয়ে তোমার কতটুকু স্বর্ণরেণু, শবযাত্রা অবধি লুকিয়ে থাকবে…
দেখা
দেখা হয়েছিল, একবার—
পাপড়ি ওড়ানো বিফল কৌশলে;
মুহূর্তকে মুঠোয় ধরতে, কেন তুমি
সংজ্ঞার ধারণায় চতুর ফুঁ দিলে?
পথ জানতো, তুমি এর যোগ্য নও!
জীবন কিছুটা জ্যামিতিক জেনেও
দারুচিনি লোভে টপকে গেলে;
ভূখণ্ড জুড়ে তাই এত পোড়া গন্ধ!
কিছু মৃত শরতকাল হাতে নিয়ে
কিছু ঘরকুনো দিন অবশিষ্ট রেখে
ভুলগুলো আনন্দে ফুটেছিল, সমতটে;
দেখা হয়েছিল—তুমি চলে গেলে;
দেখা হয়েছিল, আমাদের—
সায়াহ্নের পুনর্জাগরিত মানচিত্রে!
গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তার হয়ে আছি; মাঠে মাঠে তরুণ সবুজের পাশে সম্ভাবনার আলো নিভে এলে, দেখি, নিঃসঙ্গ এক অন্ধকার উঠে যায় আসমানে, আর পটভূমি রঙিন করে নেমে আসে অশরীরী তমরূপসী; যার অদৃশ্য আয়োজনে চিকচিক করে পালকরাশি; নগ্ন পায়ে হাঁটতে থাকি আমি, বহুপথ…
পথ হাঁটতে হাঁটতে, ভালোবেসে, গ্রেপ্তার হয়ে আছি, বহুদিন—