খোঁজ
হারাতে চাই ভেবে আমি পথ খুঁজেছি কত
পথের দেখা নাই;
অবরোধের জীবন ভাঙতে ক্ষ্যাপা নদীর
কোথায় দেখা পাই?
চোখের ভেতর বনের ছবি, মনের ভেতর ঘোর
পথিক হতেই প্রশ্ন পথের, কী হয়েছে তোর?
কিছুই হয়নি বলে বেড়াই তবু বুকে খাঁ-খাঁ,
আমার ভেতর কে যেন এক অচিন-অদেখা
অচেনাকে চিনতে দেখি আমি কোথাও নাই
অদেখাকে দেখবো ভেবে বেঘোরে হারাই।
ছায়া
সময় আমার হারিয়ে গেলো সেই যে বারোমাসে
ছায়া হয়ে কেন ঘুরিস আমার আশেপাশে!
আঁধার সরে দিনের বেলা; রৌদ্র করে খেলা
সূর্য যখন দু’চোখ মেলে ঝরায় মরুর ঝড়,
তপ্তদাহে বসে বাঁধিস মেঘের বুকে ঘর।
যখন কান্না বেশে দুঃখ এসে করে স্বপ্ন চুরি
মন যে তখন ব্যথার ভারে করে ওড়াউড়ি,
বুকের ভেতর এক শ বাঁশি ছিনিয়ে নেয় জোরে
খুঁজে পেতে আমাকে ফের আসিস কেন উড়ে!
বৃশ্চিকা চোখ
চাঁদ ঘুমাতে গেছে
এক টুকরো চাঁদ
অনন্ত কুয়োর জলে,
রোদ মেখে ঝিঁঝি
বাজায় বিঠোফেন
মধুমাসের গলে।
কিছু ব্যথিত হাড়
শুকনো কাঠের মতো
সবুজ পাতার তলে,
পাকা ফলের ভেতর
মেটে পুরুষের চোখ
অন্ধ, করোটি-কঙ্কালে।