ভুলে বসে আছি আমাকেই।
আমার কত কাজ পড়ে আছে।
আমি কেবল ভুলে যাই সব
আমি যেন কে হই আমার?
কোথায় ঠিকানা?
পৃথিবীর তিনভাগ জল অতিক্রম করে
ঘরে এসে দেখি—
ছোট্ট বাগানটাতে ফুটে আছে থোকা থোকা আশা-ফুল
বিলাসিতা দুঃখযাপন
আনমনে পথহাঁটি, আড্ডায় গান গাই, কাজ করি
জেগে থাকি, ঘুম যাই স্বপ্নসারস হয়ে ওড়ি
হই যদি সফল চাকুরে…
মুক্ত পাখির মতো পাখা মেলে গান গাইবে কে অচিন সুরে?
চিত্রের পাখিসব ক্যানভাস ফাঁকা করে উড়ে যাচ্ছে দূরে
আছি প্রতীক্ষায়, ডাক পেলে ফিরে যাব
স্বপ্নকে দেব ছুটি
হেঁয়ালি কিশোর, নাটাইয়ে দাও টান—
ঘুড্ডিজীবন ছেড়ে স্পর্শ করো মাটি…
এতদিনে মনে পড়ল তুমি একজন কবি?
এতদিনে মনে পড়ল ছবি আঁকো, গান গাও
মনে পড়ল—তুমি কারও পিতা হও
তুমি কারও স্বামী
তুমি কারো ভাই, বন্ধু, আত্মীয়জন
দায়িত্ব!
আহারে, গানের কথাগুলো ভুলে গেলাম!
সুরটা ছিঁড়ে গেল শিমুলতুলার মতো…
গাড়ির চাকার নিচে পিষ্ট হলো প্রেম
মেঘতাড়ানো বাতাসের বিদ্যুৎচাবুক খেয়ে
আর্তনাদ বুকে নিয়ে নিরুদ্দেশ ছুটে যাচ্ছে যে—
সে কি তুমি?
আমি?
নাকি অন্য কারোর প্রতিছায়া!?
যে যায়, যাক… এবার ঘুমাতে যাই…