ইজমের সুঁচে
কটিতে তোমার এই লাল সেলোয়ার
লেপ্টে আছে যেন রাষ্ট্র, খুরের ধ্বনিতে
ইতিহাস জেগে ওঠে, সবুজ লেবুর
খণ্ড খণ্ড দাগে খুব রক্তের বিভেদ
ইজমের সুঁচে ক্ষত আমাদের দেহ
আত্মঘাতী ছিন্ন করে পাইনের ছায়া
প্রাণের লেবুর দেহ, সভ্যতার দাগ…
সামান্য সময় নিয়ে এখানে আবর্ত
মেরুন রঙের শিসে তবু বিষ কাঁটা
পাতার বহরে আর কত অভিশাপ?
বিপন্ন সুন্দরী
বনের সমূহ আয়ু উদ্বাস্তু শিবিরে
আজ খাবি খায় খুব, সুন্দরী বিপন্ন
স্বার্থের করাল দাঁতে! তোমাদের এই
মিথুন সবুজ ছিঁড়ে যদি অন্ধকার…
নগরের চোখ ফুলে কাদার ডালিম…
ময়ূর পেখম ছাড়ে শিকের খাঁচায়…
কলের বানানো পুচ্ছ পরিয়ে কিভাবে
সভ্যতা হাঁকাবে রথ? কয়লার রাত
সুচের মতন বিঁধে যদি এই মাঠে
বাঘের আস্তানা পাব কি এখানে আর?
স্যাভলন
এই-যে কবিতা, পাতার সবুজ…যেন ফুটে ওঠা
এক একটি স্যাভলন—মনের প্রতিষেধক…
অই-যে ম্যামথপথে লুপ্ত কত অজ্ঞাত
জীবখেকো জীবের কংকাল…এভাবেই কি হয়
সমস্ত প্রাক্তন, সমস্ত প্রলয়?
স্যাভলন—সে তো এক জীবন-নাশক!
অথচ আমাদের সখার নাম!
কী আশ্চর্য!