পরিচিত ডিএনএ-র ঠিক পশ্চিমে
ভাবনার স্তরে বিমার শহরতলী হারিয়ে যায়
শারীরবৃত্তীয় আচরণবিধি পাশের ঘরে পড়ে রইলো
জানালা থেকে সোজা টোলট্যাক্স পেরিয়ে কোনোদিন মাঠের মাঝ থেকে দেখলে,
সন্ধ্যের সাথে নিছকই ১টা অ্যালগোরিদম তৈরি হয়
কবিতার গায়ে সেফটিপিন দিয়ে আঁটা দ্য নিউ ফ্রিকোয়েন্সি এবং এই কারণে
চুমু খাওয়ার জন্য হরমোনাল ফাংশন ঠিক
জিভে ২৪০ ভোল্ট খায়
চলো
সোনামুখী সুঁচ দিয়ে মেটামরফোসিস সেলাই করে রাখি, যদি
কোনো-কোনো দিন স্যাচুরেশন পয়েন্ট বরাবর ক্রিয়াপদের শব্দ পাওয়া যায়
তাহলে হিমোগ্লোবিন থেকে একঝাঁক বক উড়ে যাবে
কঠিন নিয়ম সময়কে ছেদ করে আত্মীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে
আপাতত তোমার ক্লিভেজে বিষণ্নতা; প্রচলিত সাইটোপ্লাজম ভেঙে
১০০% সুতির হুইস্পার করছে লাস্ট লোকালের কোনার সিটে
লতাগুল্মের অন্তরালে হারিয়ে ফেলেছি ফোন নাম্বার, তাহলে
কলারটিউনে সেট করতে পারতাম নিজেকে অথবা
শাহী লুধিয়ানভি-র কোনো প্রাণটাচি লাইন, আমি
আমার জামার কলারে ঠিকানা ঝুলিয়েছি মেডিকেল ইস্যুর পর আর নতুন রাস্তার শব্দ
তেজস্ক্রিয়ভাবে বাড়ছে পরিচিত ডিএনএ-র ঠিক পশ্চিমে…
পশুর খুরের আওয়াজ ঘন হয়ে আসে
ছাদের ওপর নগর গড়ে উঠেছে, স্যাঁতস্যাঁতে গন্ধ তবু রডডেনড্রন দুলছে ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, আর
ভাষার মধ্যে নিষ্পাপ বৃষ্টিবিন্দুরা আরও সতেজ হয়ে উঠছে
মফস্ সল পথ
১৩নং ওয়ার্ড
কামারপাড়া লেন;
ঠিক যেমন স্কুল কলেজের ক্লাসে অসাধারণ মেয়েটি সাধারণভাবেই
লুফে নেয় ছেলেটির বহুরৈখিক চেঁচামেচি
ছটফটে ভাষাবদল, আর ভাবতে থাকে
শনি নেপচুন প্লুটো সব মিনমিন করে সরিয়ে যায় ভাসমান শরীরের দিকে, যাক; তবু
মেয়েটি আমাকে ঘরে নিতে চেয়েছিল কমরেড;
কণ্ঠস্বর রাজনীতির আওতায় দাবিয়ে রেখেছে অর্বাচীন, তবু
আ-জো নিকেল-রোদে রুখে দাঁড়ায় কচি কচি বাতাস
নির্জলা খুন, তৃষ্ণায় বুক হাতড়ায়
অথচ আমি এসব খুব আড়ালভাবে ডিটিপি করি
প্রুফ দেখি,
নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসে পশুর খুরের আওয়াজ ঘন হয়ে আসে,
মনোযোগ দিয়ে মহাঘুমের মধ্যে দুঃসহ রগড় দ্যাখে মেয়েটি
ওদের ঘিরে রাখো,আমি এখনো
উইঢিবির মধ্যে বিবস্ত্র আঁচড় টানি,আর
সেই মেয়েটির চেহারার লাস্যে—প্রসীদ প্রসীদ স্তোত্র বলে
এখন, অপরাহ্নের দৃশ্যে রুক্ষ ধুলো জমেছে
কুর্চিফুল ঝরেছে, দ্যাখো আজকাল
কানের বৈদিক পাশে চতুর্থ মাসটিও ট্রেন ধরে পেরিয়ে যাচ্ছে রঙচটা দেয়াল পেছনে ফেলে
বিকৃত বুদ্বুদ
আমার মগজে রূপহীন দর্শন
শব্দহীন দ্যুতি অথচ উদাসী রাস্তার আড়ালে
নদী বইছে সরীসৃপ ছায়া হয়ে
সেই ইমনবেলা থেকে পিছু নিয়েছে নির্জন শীর্ণ জ্যোৎস্না
ক্ষয়ে চলেছে জীর্ণ বিপ্লব
মাটির অশরীরে মিশে যাক দুঃশাসনের রক্ত, আর
পৌরাণিক বিষণ্নতা মোম হয়ে গলে পড়ছে, কী ভিষণ
ভৌতভাব গুমরে রয়েছে সমুদ্রকাল ধরে, এরপরও
আমার উঠোনের সামনে দিয়ে গভীর আর্তনাদ;
পলাশ গাছের কাছে অতীব মগ্ন এবং উদ্ধত চাউনি
আমি এখন দল ছেড়েছি, এখন আমি
লীন
মৌন অথচ এখনো মধ্যবয়সে রাত অস্ফুট স্বপ্নের মধ্যে
দ্রবীভূত হয়, আর ভয়ঙ্কর স্বাধীনতা
অশ্রুপাত করে, প্রয়োজনে
আমাকে একা রেখে চলে যায় ছিন্নভিন্ন ঋণের সামনে, তবু কত
গন্তব্য তীক্ষ্ণ বেদনায় ক্রমশ নিস্তেজ হয়ে পড়ছে, আমি
শব্দ হয়ে জলাশয়ের ভিতর বিকৃত বুদ্দও আস্তে আস্তে দানব যোনি ত্যাগ করছি
বনমালী তুমি পরজনমে…
আরও পড়ুন : বইয়ের সঙ্গে বন্ধুত্ব-৬॥ আনোয়ার পারভেজ হালিম