বিকল্প বিষাদ-১
এই শরীর, এই শরীরের ভাষা দিক থেকে দিকে হারিয়ে যাবে।
মানুষগুলো পশু ভেবে পাশ কেটে যাবে আমার, আমি তবু গান গাইবো মানুষের।
নিজস্ব হাতের কাছে জমা থাকবে মৃত্যু, পান করব, উড়িয়ে দেবো, গান গাইবো গগনবিদারি।
তুমি শুনবে, মানুষ শুনবে, শুনবে পৃথিবী।
মৃত্যু তবু জায়গা দেবে আসন্ন শিশুরে।
এই ভীত কলমের পাশে শুয়ে থাক ভগবান
এই ভয়াল জনপদে তুমি কেন মানুষ জন্মরে মহান বানাও?
তুমি তো জেনেছ খোদা শরীরী ভাষা শুধু খুন করে স্নেহের অনুজ।
জেনো হে মানুষ সকল
শরীর বিদ্যাই হলো
সভ্যতার আদিম ইশকুল।
বিকল্প বিষাদ-২
ঠোঁটের ম্যাজিকে খোয়া গেলো বিষাদি বিকেল,
তুমি ডাক দিলে রাতে-
একান্ত ঘুমের কাছে বন্ধক রাখি হাতঘড়ি,
তার চেয়ে আমি ঢের ভালোবাসি এককাপ চা দুই ভাগে চুরি করা রাত।
শরীর তো শুধুই খেলে দেওয়া ক্রিকেটের পিচ, সেদিকে আমি এক আনাড়ি পুরুষ।
তার চেয়ে আমি ঢের প্রেমে পড়ি তোমার নখটানা বিরহী ব্যথার।
আঙুল কার্নিশ বেয়ে গলে পড়ে অবহেলা, টের পাই তুমি আছ অতীতের শীতে।
তার চেয়ে আমি বেশ সুখে পুড়ি তোমার অসুখে!
বলো, তুমি তার ডাকনাম কী দেবে প্রেমিকা?
আমি তবু তোমাকেই জন্মস্থান ভেবে-
বার বার ফিরে গেছি মায়ের অসুখে।
বিকল্প বিষাদ-৩
আত্ম অপরাধের ব্যথিত চোখ নিয়ে তাকাই-
দেখি, নিজের ভেতরে সেই শোকহীন হাসি একা মরে পড়ে আছে।
চোয়াল ভারী হয়ে গেলেই মানুষ কি ভুলে যায়-
মাতৃদুগ্ধের প্রেম?
ঝরে যেতে যেতে যে ফুল শেখালো
সুবাসের নির্মম কাহিনী, তাকে কী করে বলি বেঁচে থাকো!
ফুলের জরুরি কী?
গন্ধ?
. না
. বেঁচে
. বেঁচে
. ঝরে
. মরে
. পরে
. থাকা।