বাল্যকাল অথবা কালবেলা
‘বাল্যকাল’ কথাটি বলতে গিয়ে ‘কালবেলা’ জিহ্বাগ্রে উঠে এলো৷ সনাতন প্রথা৷ অথচ পূর্ব-মোহাম্মদপুর কী আয়াসে না নিত্যানন্দ ভণে৷ অনৃত বাক্যে আজ যথাসম্বন্ধ৷ বোলো না অমন করে, প্র-পরা-উপ-সম বলতে বলতে শমীবৃক্ষ, শালতোড়া…যথেষ্ঠ আগুন নেই তবু গুণ, গুণত্রয়…গুনে দেখি তারকাসকল৷ আহা জাগরণে যায় বিভাবরী…তুমি সে অপূর্ব নাম নেশা জাগে৷ মরা, মরা, মরা বলে আমরা কেমন যেন অতলে তলিয়ে যাই৷ তুল্যমূল্য মূলাধার যতসব উড়ন্ত শিমুল…সমকক্ষ নয় তবু আসমান, ‘মসৃণ’—‘মূর্ধন্য-ই’ হবে৷ খাদ না মেশালে সোনা, হয় নাকি? শোনা কথা, কে কবে বিশ্বাস করে? বাল্যকাল তুমি তো চাওনি, ওই দূরভাষ, ঘুরপথে কালবেলা হাসে…
আশ্বিন
এখনই কি ‘খনা’ সাজে? টোটকা, তাবিজ? লিপ্তপাদ-তাম্রলিপ্ত সব আজ একাকার!
বিস্ময়চিহ্নের দিকে নিত্যাশীর্বাদ ঝরে পড়ে৷
রাত্রি আলো৷ ১:৪১৷ তুমি: আমি মধ্যে চতুর্বেদ৷
আমি সামান্য মানুষ৷
‘চতুর্বর্গ’ পেরিয়ে যেই বর্গভীমা মন্দিরে সাষ্টাঙ্গ প্রণামে মাতি
তৎক্ষণাৎ ক্ষপণক…বিক্রমাদিত্যের সভাকক্ষে বাস্তবিক তুলোধনা৷
এই আশ্বিন এলো বলে…
মুক্তি
অনির্বচনীয় অনিন্দ্যঅনিদ্রা৷ মুক্তি৷
গদ্যে এত গদাধর!
‘বাবু’ সম্বোধনে অধরোষ্ঠ কেঁপে যায়
আমি সে জ্ঞানাঞ্জন দশদিগন্ত খুঁজে দিতে পারি৷
অনুগত, তদুপরি ‘বাবু’ বলে চিকেন-তন্দুর
তা আমি লজ্জায় মরি! কথা কী হয়েছে?
শুভঙ্করী ধাঁধা শুভ৷
গণনা সত্যি হলে বাবু না বাবুইবাসা
তুমি জানো ওল্টানো কুঁজো?
সাত
‘সাত’, সংখ্যাটির প্রতি মুহুর্মুহু দুর্বলতা৷
এত এত ‘হ্রস্ব-উ-কার যে আস্বাদ গ্রহণে বেলা যায়৷
তারিয়ে তারিয়ে ‘তারকব্রহ্ম’…উপলব্ধি নিমীলিত৷
ফলত, অন্ধকারে অভাবিত নৈঃশব্দ্য৷
ছন্দোরাজ না গন্ধরাজ?
জানলায় চাঁদ হাসে৷ সারারাত তারাময়, তারা…
আয় ঘুম
আয় ঘুম৷ পুত্রের প্রিয় গান অনাদি অনন্ত…ত্রিবিন্দু আসক্তি, শক্তি যেন-বা বাসক৷
কাশি দূর৷ কাশীতীর্থ পরিক্রমা শেষে, মা রজনী নিদ্রা দাও৷ সত্ত্ব, তমঃ, রজঃ৷
রজকিনী, চণ্ডীদাস…আমাকে গণ্ডির মধ্যে রাখো৷
আরও পড়ুন: সাম্প্রতিক সাহিত্য