বরফকুঠুরির বেদনা
আকাশের মলাটে ঝুলে থাকা মুখের নাম নক্ষত্র।
মেঘছেঁড়া হাওয়ার গ্রীবায় হারিয়ে যায় বরফকুঠুরি;
চক্মকি আলোর আলিঙ্গনে হয় দিনের চিত্রকাহিনি।
দিনের দরিয়ায় সাঁতার শিখে জুয়াড়ি চোখ
সেই চোখেই রাতের কালো কাছিম করে গার্হস্থ্যস্নান
সেই থেকেই নক্ষত্রের জাগে প্রণয় বাসনা
তা দেখে থেমে যায় বরফকুঠুরির বেদনা।
বালিকা
বৃষ্টির আদরে ধুয়ে যাবে কী আলতার স্বপ্ন! ধূপের গন্ধ
ভরা রাতের রূপালি কাচভেজা স্মৃতি তো ভুলিনি—
শাবকের পথভোলা গল্প লেগে আছে অনুভূতির অধিবেশনে
বৃষ্টির বিনম্রতা আমার দিকে তাকিয়ে সেই কবে থেকেই
কাঁদছে—বালিকাকুঠির; প্রথম দরজা খোলার আনন্দে।
বালিকা—চোখে কী লেগে আছে দুধফড়িঙের গোল্লাছুট;
. বৃষ্টি পার্বণের ঘনসন্ধ্যা?
কসাইপাড়ার কাঁচা মাংসের গন্ধে যখন
. ঘিনঘিনে মগ্ন হাসির ক্যানভাস,
তখনই রাতগুলো ভিড় করে প্রহরীর দীর্ঘ পিপাসায়।
কিসের টানে মিছে প্রেমে অন্ধমহাজন গাইছে উষ্ণগান
বালিকা তুমি কি বলতে পারো?
কেন ভুল করেও ভুলি না তোমার ধানী বুকমাঠের ঘ্রাণ…
বৃষ্টির মলিনতা যদিও না পায় বৈধ্যতা
বালিকা—বিনামূল্যে শেখাবো তোমাকে বৃষ্টিসূত্রের শুদ্ধতা
৫০০-এমজি কবিতা
বিছানার চাদরে ছড়িয়ে থাকা দেহের দরদ—বড্ড কবিতা বান্ধব…
দুষ্টু দেবতা
মুক্ত হয়নি মুক্তা শিকারির চোখ ভরা তারা।
পাঁজরে পুষে রাখা নৈঃশব্দ্যের বাদামি বেদনা
হীমঘুমে উঁকি দেয়—পেছনে পড়া বনখাগড়া।
জ্বলে ওঠেনি পাহাড় কাঁপানো ক্যামেরার ফ্লাস,
ফটোগ্রাফার মুক্তা পূজারি—যুবতি কাটে পাশ
যুবতীর খোলা বুকের চাতালে মুক্তার বসবাস
তা দেখে দুষ্টু দেবতা ফেলে শ্বাস—এ কী সর্বনাশ…
ভেল্কি
তোমার ঠোঁটের কার্নিশে লেগে থাকা হাসির ফসিল
ঘুমন্ত ঘোরগুলো উড়ন্ত করে তুলে—রাত ও দিন…
ঈর্ষা
তোমাকে অনেক আগেই অতিক্রম করেছি বলেই
তুমি চিৎকার করছ—সামনে আগুন আগুন…
আমি জানি—সেই আগুনে পৃথিবী পুড়বে না
পুড়বে তোমার ঈর্ষাকাতর বুক…