মৃত্যু
এখন আরও নিকটে অথচ রোদের
কাছে যেতে যেতে তুমি সরে যাচ্ছ দূরে,
অন্য কোনো অরণ্যের নির্জন ছায়ায়।
কেউ ছুঁতে পারছে না তোমার শরীর,
পড়ে আছে আমাদের বিউটি পার্লার—
এমন জীবন-ই কি চেয়েছিলে তুমি!
দূর থেকেই দেখছে তোমাকে সবাই,
তুমিও নিজেকে দেখা ঘুমের প্রতীক
রেখে অসংখ্য মানুষে, পাতার আড়ালে
ঘুমন্ত হৃৎপিণ্ডের সাথে জাগছো একাই?
চমকে উঠা মুখের মত কাছে এসে
যেদিন দাঁড়াবে তুমি সেদিন আমি কি
ছুঁয়ে দেখতে পারব নির্লিপ্ত তোমাকে?
সৌধমণি
আমাদের সৌধমণি, আমরা ভুলে গেছি তাকে ফিরিয়ে আনার যাবতীয় কৌশল। এখন শুকনো পাতার মুকুটে সূর্যালোক ছিটকে পড়ে না, গৌরাঙ্গ সাধুর নিশি অন্তরে পড়ে আছে উৎপ্রেক্ষার শূন্য জাদুঘর।যুক্তির বাইরে শহরের সমস্ত ল্যাম্পপোস্টে বৃষ্টির শব্দে অস্থির হয়ে উঠছে দলিত উপমা। সঙ্গম ইচ্ছের বন্দরে পিলারে, বিলবোর্ডে একে একে জ্বলে উঠছে সবুজ কাকরোল।
বাবার কাছে চিঠি
তোমাদের নির্জন দুপুরবেলা বাঁশপাতার উড়ে চলা ধ্বনির মতো
আবার ফিরে এসেছে
গভীর অসুখ থেকে সেরে উঠছে ধীরে ধীরে
জংধরা ময়লা আকাশ
রোদুর্বশীতে ভরে উঠছে পাখিদের নির্জন সবুজ হাসপাতালগুলো
কুঁকড়ানো পাতার মরণ ব্যামো সারিয়ে তুলছে
দূরের বল্মীকে ভেসে থাকা ছায়ার সাঁতার
দস্যু বাতাসের ঘ্রাণে ভেসে আসছে তোমাদের পুরনো কাল
রাতের নীরবতায় কোনো ফিসফিস কথাই আর গোপন থাকছে না