নিজস্ব প্রতিবেদন-১
যাকে সাষ্টাঙ্গ দিয়ে মনে রাখি
তাকে করি ভুলে থাকার অভিনয়
আমি কি আর দক্ষ অত
লোকের চোখে ধূলো দিয়ে
পালিয়ে বেড়াব?
সুশোভিত ফুলের স্তবক হাতে
পেরিয়ে যাবো অনাগত কাল?
অ্যামেচার চোখ শুধু জানে
নোনতা জলের থেকে
কিভাবে নিজেকে লুকিয়ে রাখতে হয়;
সে কথা বলতে বারণ—
কেউ যদি ভুল করে বলে তার নাম
মুখে তাচ্ছিল্য, অন্তরে হাজার প্রণাম
বনানী-২
একটি উজ্জ্বল চাঁদ
অতিশয় অনুচ্চারিত শব্দে
বনানীর কপাল ঘেঁসে আকাশে উঠে গেলো
সেই আয়োজনে, গাছের পাতা
কীভাবে ধরবে এই উচ্ছসিত আলোড়ন!
এ সব নিয়েই রাতের যত কোলাহল
গাছের দীর্ঘ ছায়ায় কোনদিন জোছনা পড়ে না
অথচ জোনাকির সাথে তার কিসের বিরোধ?
—এসব নিয়েও শোরগোল হয়, যখন
বনানীর কপাল ঘেঁষে একটি উজ্জ্বল চাঁদ
অতিশয় অনুচ্চারিত শব্দে উঠে যায় আকাশের দিকে
আনন্দ সত্য, বেদনা মিথ্যা নয়
বেদনা সুন্দর, সত্য ও কৃষ্টি
যা থেকে জগতের সবকিছু সৃষ্টি
মায়ের বেদনা থেকে যেমন আমি
জলের বেদনা থেকে যেমন ভূমি
জীবনের শতভাগ বিষাদমাখা
বিষাদের সাথে আছে বেদনার সেল
তাতে কিছু সুখের মিশেল
রঙধনুকের মতো মেলে দেয় পাখা
পাখা মেলে ভেসে ওঠে সে
ভেসে মিলে যায় বাতাসে।
অনুভব
বনের ভেতর কেউ গাছ কাটছে
এখান থেকে শোনা যাচ্ছে
মানুষ মরে গেলে গাছ অনুভব করে
গাছ মরে গেলে মানুষ শুনতে পায়
রাস্তার পাশে ডোবায়
একটি লাশ ভেসে উঠেছে
গাছ তীব্র অনুভব করেছে, মানুষ
জানতে পারেনি
অন্তরালে
এই যে শুয়োপোকা
যাকে দেখে ভয়ে ও ঘেন্নায়
কুঁকড়ে যাচ্ছো তুমি
হয়তো একদিন এখান থেকেই
সৃস্টি হবে বর্ণিল প্রজাপতি;
যার চিত্রল ডানায় ভর করে
তুমি স্বর্গে যেতে পারো
আমেরিকা
আমরা যারা বাংলাদেশে থাকি
তারা জানি, বাতাস চিরকাল
পশ্চিম দিক থেকে ঝড় হয়ে আসে।
মৃদুমন্দ হাওয়ার কথা ওদিক থেকে
কোনদিনই শোনা যায়নি।
তৃতীয় বিশ্ব
আমরা যারা বাংলাভাষাভাষী
তারা সবাই দক্ষিণা আর
পূবালী বাতাস ভালোবাসি
গায় লাগিয়ে নদীর হাওয়া
মন দুলিয়ে হাসি—
কিন্তু, জেনো বাতাসও সন্ত্রাসী
যখন পশ্চিমাকাশে লাগে মেঘ
আমাদের ভীষণ উদ্বেগ;
এটম বোমের ভয়।