অ্যা ল্যামপোস্ট, বিদ্যাসাগর মশাই
নিয়ন আলোর ল্যামপোস্ট
শিরদাঁড়া উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে
একদল দাঁড়কাক বিষ্ঠার প্রচ্ছাপ
মাতোয়ালা চাঁদ রাত
অগণন আলো
ফুলে ফেঁপে ওঠা
দর্জিবাড়ির সুঁই বু
ক্রিং ক্রিং বেল্ট ধ্বনি
নেমে পড়ে রিকশাওয়ালা
হিসু করে একটানা কতক্ষণ
দর্জিবাড়ির সুঁই বু
কী চাস, মাল খুঁজিস?
টাকা চাই কড়কড়ে নোট
শালার মরদ, ওই ফোট!
অদূরে ঘুটঘুটে বিচ্ছিরি অন্ধকার
একটুকু আলো চাই, নিয়ন আলো
শিরদাঁড়া ল্যামপোস্ট দাঁড়িয়ে ঠাঁই
একদিন বিদ্যাসাগর মশাই
মুখস্ত পাঠ নিতেন কত সরল বইয়ে।
মৌনসুখ, বুক ক্লাব বিদ্যালয়
সঙ্গনিরোধকালের যবনিকা পাত
খুলছে প্রিয় বিদ্যালয়, বুক ক্লাব
রোল নম্বর: এক
: উপস্থিত স্যার
রোল নম্বর: দুই
: ইয়েস স্যার
রোল নম্বর: তিন
: জি স্যার
রৌদ্র করোটি সকাল দশ
সপর্যিতা অনুপস্থিত
দারুন বিচ্ছিরী!
a time to talk
রবার্ট ফ্রস্ট, কবিতা পাঠ
আদ্রিতা, বড্ড নিশ্চুপ
বুক ক্লাব কেটেছে নির্জনতা
লাইটাল বেঞ্চ
বইয়ে চোখ পড়তেই
আদ্রিতার মৌনসুখ চোখভাষা!
বলাকা ব্লেড, নপুংসক মানুষ
ধারালো কাস্তের খাঁজ
নিখিল কর্মকার জানে
লোহাকে পুড়িয়ে পিটিয়ে
কিভাবে ঘাস কাটে ধারালো কাস্তে।
শম্ভু শীল চুল কাটে
ঘ্যাচাং ঘ্যাচাং
বিস্তর চুল অবশিষ্ট
ষোলো চুঙ্গা নাপিত বুদ্ধি
দু’দলা চুল কেটেই কত টাকা।
যতই বুদ্ধি থাকুক, শম্ভু শীলের
আজকাল চুল কেটে অনেকেই
জালটাকার কাড়িকাড়ি দেয় নোট
বেকুব বনে যায় দু’টাকার বলাকা ব্লেড
আ ঈশ্বর কী ভোঁতা, মানুষ কেমনে কাটে বাল!
একদিন চোখ বুজলেই ঘড়ি শেষ
রক্ত-মাংসের নাট-স্ক্রু শক্ত হাড়ের কল-কব্জা
দেহের ভেতর চলছে ঘড়ি অবিরাম
ব্যস্ত শকট ডানে বামে চলছে দেহ পথ-প্রান্তর
বুকে ঝুলছে হৃদপিণ্ড এক
চলছে টুপটাপ রক্ত সেল
দেহের ভেতর চক্কর মেরে করছে খেল
মস্তিষ্কের রক্তবানে পৌঁছে যায় পায়ের কোণে
আজব খেলা খেলছে ঘড়ি দেহময়, ভোলারে!
কী এক ধান্দায় পড়ে ছলচাতুরি করে প্রতি জনে
নিক্তি মেপে রোজ দিচ্ছে কম
বোঝে না একদিন ছাড়বে না যম
আজব মাতবরি তুই খেলছ কোথা মনারে
জানছ কি দেহের ভেতর কলকাঠি নাড়ছে কে?
রাত্রে জ্বলছে টর্চ বাতি
দিনে থাকে সূর্য সাথী
ভেবে দেখছ কি একদিন চোখ বুজলেই ঘড়ি শেষ!