বর্ণ-সংকর
গোধূলির কুসুম রাঙা আলোয় নিজেকে ভিজিয়ে যাই প্রতিনিয়ত,
অস্থিমজ্জায় মিশে ফিসফিসিয়ে বলে ‘আর লুকোচুরি দিন-রাত নয়’
এভাবে ক্ষণে ক্ষণে রূপ বদলায় কেবল ভাঁড়েরা।
তোমার মনের চেয়ে বড় আকাশ দেখিনি;
চলতি পথে যে পথিক ধূলো ঝাড়তে থেমে যায়
তাকে পথিক বলা চলে না,
মিশে যেতে হয় পরম মমতায়।
চিরকুট-তিন
পৃথিবী ঘুমিয়ে গেলে আমি বিচরণ করি উঠোনে;
জীবনানন্দের শহরে তুমি জোনাকিপোকা ছোঁও মায়ের কোমল স্পর্শ ভেবে।
অথচ এই রাত্রি ছিল আমাদের চিরকুট বিনিময়ের,
একঝাঁক অন্ধকার পাখি যখন কিচিরমিচির করে তোমার পুকুর ঘাটে
চিরকুটেরা পরম মমতায় মিলিয়ে যায় মায়ের সাথে।
ইচ্ছে
শহরের চাকচিক্য কেমন আবরণে ঢাকা,
বুঝতে গেলেই পুরো জীবন শেষ;
রাখঢাকহীন একটা গ্রাম চাই
কাদামাটি দিয়ে গড়বো, লালন করবো;
বুকের পাঁজর খসে পড়া দেখে লেপে দেব কোমল স্পর্শে।
শহরের অলিগলিতে কংক্রিটের স্তূপ,
আমি চাই অবারিত মাঠ।
বিখ্যাত হওয়ার ইচ্ছে নেই,
নেই প্রত্নতাত্ত্বিক সাজার;
মেঠোপথ ধরে হাঁটতে চাই আনন্দে-ব্যথায়।