তরল মাদক
দুধের মাঠার মত মেঘ থেকে ঝরে পড়ে জলের প্রস্রবণ
লালরঙা তারা ফুল পাপড়ি মেলে ধরে প্রেমের আকুলে
বৃষ্টির শব্দ কি বাতাসে বাজে?
মাটিতে নেমে এলে
কোন রাগ, সুর-তাল বেজে ওঠে কানে? মাটিও বাদ্যযন্ত্র এক
জানে শুধু কানের যন্ত্রী যারা। বাতাস চিরচেনা নাচের গুরু
মুদ্রার তালে তালে নাচায়-ঝরায়, জলের নৈকট্যে অধিক কাঁপায়
আমি তো সুরের বৃক্ষ, নৃত্যে মাতাল
বাতাস-মাটি-জল, উষ্ণ সঙ্গমে—
মাটির বাদ্যধ্বনি আমাকেও বাজায়
বাতাসের নাচ থেকে জলের ঝাপটা এলে
আমি কি পান করি, দুধের মাঠার মতো তরল মাদক!
বকুলের সুঘ্রাণে কলঙ্ক নেই
আমি একটা বকুল গাছ লাগিয়ে গেলাম
গাছটা প্রতিদিন একটু একটু করে বড় হবে
আমি প্রতিদিনই একটু একটু করে ছোট হবো
আমার শরীর থেকে নিয়ত সুগন্ধ হারাবে
বকুল ফোটাবে অজস্র সুগন্ধি ফুল
আর সব ফুল ও মানুষ বাসি হয়ে যায়
বকুল কখনও বাসি হয় না
প্রেমিক প্রেমিকাও বাসি হয় এক সময়
প্রেম কখনও বাসি হয় না।
প্রেম আর বকুলের সাজুয্য আমাকে মোহিত করে
প্রেমকে রোপন করা যায় না বলে—প্রকারন্তে
বকুল গাছ লাগিয়ে দিলাম।
আমাকে কখনও ছুঁয়ে যেতে পারোনি কলঙ্কের ভয়ে
বৃক্ষে কোনো কলঙ্ক নেই
মাঝে মাঝে তাকে ছুঁয়ে যেয়ো, আমি শিহরিত হবো।
আমারই নামে
এত বৃষ্টির পরে
একটা নদীতে ডুব দিয়েছিলাম।
জল থেকে উঠে, চোখ মেলে দেখি
আমার গন্তব্যপথ—
ততক্ষণে শুকিয়ে গেছে
কী চঞ্চলতায়—
ডাকছে সে পথ…
আমি শুধু নদীর পথকে চিনি
নদীতে সারা বছর
আমারই নামে বৃষ্টি নামে