এক.
গত দৃশ্যটা ভাবার মতোন। কঠিন
করে বললে, প্রিয় নাকফুল থেকেও
অতি কোমল। কিন্তু অবৈধ যাত্রার
মতো পিচ্ছিল। জনবহুল এই পথ
আমাদের কোনো একটি গোপন চাল
শেখায়। আমরা জানি—বৈধ হওয়া
ভ্রমণ কিভাবে নতুন পথ ডাকে।
আবার ওপরে যখন কোনো ফাটল
ধরে, তখনো আমরা সন্দেহে তাকাই।
কিনে নেওয়া পুতুলের মতো চোখ দেই
তার জমিয়ে রাখা আগুনে। সেখানেও
কুমির! আজব এই শোকের বিভ্রাটে
তুমি খতম হও। আমাদের আগুন
নিয়ে বিলাতে থাকুক—পূর্বপুরুষ!
দুই
পৃথিবী তোমার ঠুঁই; সাধুবার দেখো
জ্বর ঝুলছে সীতার গলায়। গিলছো
তুমি ভ্রমণ, দ্রুত; বেশুমার। সেও—
ফিরেছে একা একা ফেরি করে রাতের
বিশ্বাস। তরুণ সকালের বুকে-পিঠে
লেগে গেছে সেই হাওয়া, চোখের মমি।
নিগ্রোভ্রমে মোহিত হওয়া ভালো গুণ,
মিশে গেলে পাপ; যখমে পোড়ে আগুন।
তারপর আমাদের হাতে এলো রঙ
বাতাসের দুল কানে মেখে বললাম
সেইসব অন্ধকার প্রথার গোপন।
কেউ শুনলো না বিয়োগের মরুস্বর
ভেঙেও আবার গুজে নিলো পায়রারা
—দেখুন এই দূরত্ব কত আপন।
তিন
ফুলে ও ফলে কারুকাজ থাকে নিখুঁত
এমনও হয় ভুল জ্বরে কেঁদে গলে মৌ;
আমরা জানি কেবল ঘরে ফেরা মধু।
যে যন্ত্রণা নিভে থাকে সীমাহীন জলে
থামিয়ে রেখেছে নদী তার নাভি রোজ
একলা আঁকে—বিরামচিহ্নের বউ।
সংবাদ নিয়ে মাঠে; আকালে ফুঁ কুড়ায়
জমজ খুন বুকে তৃষ্ণা, কে উড়ায়!
লাঙলের পাপড়ি তুলে—মৃত্যুমিথ
ঘুঘুর গর্গলে ঘরে এলো হবু ঋণ
অবুঝ বালিকা তখন—ভুল খুলে,
জানালার ফুটপাতে মায়ারু আঁচল
ভিন-গাছে রূপসী বানায়। চাঁদ ওঠে,
বাসি মুখের ন্যুট-হাসি থাকে আড়ালে।