ফুলপাঠের পরে
ফুলের দিনগুলা বুনতে বুনতে এসেছি তোমার কালোয়
মুখে মাখো শুধুই অহম আর আকাশ ছোঁয়া দোষের টোনা
যতই বলো পারি না কথাটি—তুমি নগর ধাতব কুমার!
পরমাণু কুলে জ্বলছে বিকল্প পাথরের গান সই-মুখ
ওজন ফুটো করে আকাশে মারো তালা—নাই চাবি
অসহ্য দাহকে মেনে, মনে হলো সবকিছু ঠিকঠাক
ফুলের বন্দরে চেপে রাখা বরফে বাজে তম-মনের থুক
ভরাট করে বানাও বিষ ই-বর্জ্যর ভয় নব সমতালে
নিভে গেছে আয়ুপাখি শুকে গেছে শান্ত পানির ঢেউ কাতার
ভাটির প্রতিটি পৃষ্ঠা জুড়ে আছে শত নদীর মায়া ও মোহ;
এই জ্বরা ও জ্বরে হই গুম, ক্ষয়খালি বিলে দিই সাঁতার
চলে গেছে দিন? যতো সুন্দর দীর্ঘ আয়ুর রেখা দিলো টান
নব ধ্যানের মূলে বানাতে হবে ঘর, দিতে হবে সবুজ রেখা
পেশিফুলে ধরাও যতো আগুন, মুখের নোঙরে দাও শান
আকাশেতে ছড়াও সুমন্দ-বকুল খুলে ফেলো অবুঝ পাখা
বিষচুরা
শুধুই নেওয়া, দেওয়া নাই, কিসের এত অহম?
পৃথিবী কাঠামো শ্রী বৃদ্ধি করেছ প্রকৃতিরে গলে
উভয়ের শরীরে দিয়েছ কাটা করেছো জখম
মানুষের মর্যাদারেও ছোট করে দিয়েছ ঝুলে
সাগর মহাসাগরে ছুটে করেছো জমি দখল
দিয়েছো স্বপ্নে হানা হৃদয়ে মেখেছ কালি পাষাণ
নিজের নন্দন পুড়ে ছাই করে গেয়েছ সুর নকল
মহীয়ান বেশে করেছে মুশকিল, নেই আসান
সবাই বলে প্রাচ্য গায় ভাল, আধ্যাত্মের বাগান
কেউ বা বলে পাশ্চাত্যই যুগে যুগে দিয়েছে আলো
এখানেই আছে শান্তির পায়রা-দূত গৌতম প্রাণ
আছে ভারি নন্দন শিল্পকলা প্রত্নবিহার আলো
কখনো বা নিজেও হই মিথ, বুঝি না যত থাবা
মানুষের লেখা ইতিহাস কি তবে দেয় ফাঁকি?
প্রত্নপাখি ওড়ে ওড়ে মাঝেমধ্যে দেয় কিছু লাভা
এখনো আছে লেখা বাকি প্রকৃত ইতিহাস কাবা!