দিনের ব্যাকরণ
ফুলের শরীরে সকালের রোদ শুয়ে থাকে
চোখ বুজে কল্পনার তফসির গুনে
কাটিয়ে দেয় দুপুর
দুপুরে লেজ ধরে টান দেয় পানকৌড়ি
শুষে নেয় জল।
ঠোকর খাওয়া মাছের মতো দুপুরের চিৎকারে
জেগে ওঠে বিধবা বিকেল।
বয়সের সিঁড়ি বেয়ে নাম লিখেছি
তরল রাত্রির ফলকে
ভুলে গেছি দিনের ব্যাকরণ।
ঘুণপোকা
তোমার মন ব্যস্ত ঘুনপোকা
বাইরে ঠিকঠাক, ভেতরে কেবল কেটেই চলেছ।
চিকিৎসাহীন আহত স্মৃতিরা
হাসপাতালে বেডও খুঁজে পায়নি।
কাঠ থেকে কাঠেই তোমার গমন
ঝাঁঝরা হচ্ছে হৃদয়
শুকিয়ে গেছে চলনবিল।
স্মৃতির ম্যাচবাক্স
মাটির কলসির ঘর্ষণে পাথরও ক্ষয়ে যায়
তুমিও ক্ষয়ে যাবে একদিন।
সীমানার কাঁটাতারে একঝাঁক পাখি এসে
তাড়িয়ে দেয় রোদ্দুর ,
পলাতক রোদ পুলিশের তাড়া খেয়ে
হাজির হয় স্যাঁতস্যাতে বিছানায়
গোধূলির শেষ ঘণ্টায়, সেও পালাবে একদিন।
আর আমার বিরানভুমিতে
ম্যাচবাক্সে শুয়ে থাকা স্মৃতিরা
কোনো সর্তকীকরণ বার্তা ছাড়াই জ্বলে ওঠে
দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায়।
মাছি দম্পতি
মাছিরা এখনো মুখস্থ করতে পারেনি নক্ষত্রের নামতা
সাংসারিক পাটিগণিত শিখেও
একই বিছানায় থাকতে পারেনি মাছি দম্পতি
আকাশের মানচিত্রে দিনভর চলে ওড়াউড়ি।
পশ্চিম নদীতে ভেসে যাওয়া সন্ধ্যার খোঁজে
সঙ্গীহীন মাছি
একা দাঁড়িয়ে থাকে নীরবে।