ফিঙ্গারবুকের কল্পগল্প
এই যে কবিতা লেখা দেখছ—
তা চলবে
এই যে কবিতা পড়া দেখছ—
তা-ও চলবে।
ইজি-চেয়ারে বসে ফেসবুকে নিজের জীবনবৃত্তান্ত
দেখেন যে প্রৌঢ়,
. চলবে সেটাও।
শুধু এই ফেসবুক হয়ে যেতে পারে ফিঙ্গারবুক;
যা কিনা শুধু চলবে আঙুলের ছায়া বহন করে।
কেউ কারো ছবি দেখবে না, কেবল দেখবে
. রেখা ও রঙগুলো।
হ্যাঁ, আমি আগামী একহাজার বছর পরের
কল্পগল্প বলছি। বলছি—
কিভাবে মানুষ ফ্রেমবন্দি করে রাখবে মেঘ।
কিভাবে শৃঙ্গারে শৃঙ্গারে আকাশ ভেঙে পড়বে
মানুষের মাথার ওপর টুকরো টুকরো হয়ে।
মানুষ ভুলে যাবে প্রেম, প্রণয় ও জন্মদানপদ্ধতি!
অ্যা জার্নি বাই মুন
আপাতত আমি মুনেশ্বরী নদীর গল্প বলবো।
বলবো; সেই নদীতে ভাসতে গিয়ে আমি কিভাবে
হারিয়ে ফেলেছিলাম আমার পকেটে রাখা
কলম ও চিরুনি। ডুবোজলে নদী পাড়ি দিয়ে
ওপারে গিয়েই দেখেছিলাম—
. বাউল বাতাসে আর উড়ছে না আমার চুল।
অথবা দু’ছত্র চন্দ্রগল্প লিখে রাখার জন্য যখন
দরকার পড়েছিল কলম’টির—
তখনই বুঝতে পেরেছিলাম, কলমও তলিয়ে যায় জলে;
পরবর্তী স্রোতের কাহিনী লেখার জন্য।
নৌকোটি’কে গ্রাস করে যে রাতের চাঁদ,
তাকে আর জার্নি বাই বোট বলা যায় না।
কিছু কিছু ভ্রমণ আছে মানুষকে হাঁটতে হয়
চাঁদের পায়ে পায়ে পা মিলিয়ে।
কিছু কিছু রাত আছে, যা চিরকালই
. থেকে যায় সাথীবিহীন।
বিকল্প ঋষভরেখা
ছায়ারৈখিক ভালোবাসার দিকে তাকাও।
কিছুই দেখবে না।
তাকাও; পাতাভস্মে ঘেরা দুপুরের দিকে।
দেখবে, সূর্যপত্নীদের সংসার।যারা কেমন করে
গৃহে প্রবেশ করছে দীর্ঘ জলকলহের পর।
. অদ্রিকা আলোয়—
কেমন করে ভাগ করে নিচ্ছে,
. নিজেদের জৈনধর্মীয় জীবন।
যাপনে বিশ্বাস আমার কোনোকালেই ছিল না।
অতিক্রম করতে চেয়েছি মাত্র।
পথ থেকে সরিয়েছি পাথর;
. গুহা এবং গন্তব্য বদলাতে গিয়েই দেখেছি
আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছেন ছায়া হাতে
. পঞ্চম তীর্থঙ্কর।