নিখোঁজ
তোমার কোনো খবর নেই
উড়ে গেছ হাওয়ায়?
বাতাসে? আকাশের বেশে?
এখানে নিশীথ
কড়াগুলো নড়ে ওঠে স্বপনের দেশে
হাওয়া নেই নীল নেই গহন সকল
ছবির পেছনে ছবি, নদীর পেছনে নদী
আঁকে অকারণ বৈশাখী নাকছাবি।
তোমার কোনো চিঠি নেই
অক্ষরগুলো উড়ে যায় পরিযায়ী পাখি
তবু খাম খুলে এঁকে ফেলি আমি
কিছু রোদ আর কিছু ছায়াছবি।
প্রেম-১
এসেছ সারাটি রাত…
আঙুলে আমার মেখে দিয়ে গেছ
জোৎস্নার আলো, আর কিছু
প্রসন্ন প্রভাত।
প্রেম-২
সম্মোহিতের মতো চলেছি পিছু পিছু
নদীর জলে ঝুঁকে পড়েছে ছায়া
পাপ তাপের সংজ্ঞার দুর্বিনীত ঘোর লাগা অন্ধকারে
ছাপিয়ে চলেছে অন্য সংরাগ।
বস্তুত নদী ও নারীর কোনো পাপ নেই.
আত্মার সন্তাপ হয়তো কোনোদিন জ্বেলে দেবে
অন্ধকার আলো হবে, সব জয় বেজে উঠবে সুরে
জেগে থাকবে অহঙ্কারী শুদ্ধতায় পাপ ও প্রেম
পুনর্জন্মে আমার।
প্রেম-৩
তৃষ্ণা প্রবল
আঙুলে আমার সমুদ্রনহর
তবু তুমিহীন রাত
জলহীন নিঃশব্দ টুপটাপ।
দু’চোখে প্রলয় মেখে
মহা ওঙ্কারের প্রতীক্ষায় সকলই গরল
অন্ধকার…
প্রেম-৪
বিবাগী আগুনে জ্বলে যাবে চাঁদ
জোৎস্নায় ধরা দেবে অন্ধকার
অতপর ছলনাময়ী লুকোবে এসে
পৃথিবীর প্রাচীন গুহায় আবার
আলসে দেহ মেলে শুয়ে পড়বে
চাঁদেরই কিনারায়…
প্রেম-৫
চাঁদের প্রতীক্ষায় কত যে বছর।
বহু সাধনায় ফিরে পাই এক মৃতগন্ধ শ্মশান
রাতমধ্য শ্মশানে জ্বলে পূর্ণিমা পূর্ণিমা ছায়া
চাঁদের প্রহরগুলো তবু কেন হায়
চন্দনচিতার ঘ্রাণে ভরা থাকে, আহা…
প্রেম-৬
জ্যাকেটটা নিয়ে আসা যেতো
ওড়নাটাও ফেলে এলে কীইবা আর এসে যেতো
একটা মালগাড়িতে যখন ঢুকেছিল উত্তুরের কাঁপন?
যদিও শীতের অবসান।
হাওয়া উড়ে গেলে শীত চলে গেলো।
মধ্যরাতের উষ্ণতা ক্রমেই বেড়ে চলেছে
দূরত্বের মতো…