প্রেম সিরিজ-১
অশ্রুর বয়ান শুনে মনে হলো-
দিন শেষে রাতের খামে আঁকা ঘৃণা
ভুলে গেছে হৃদয়ের নিরেট ব্যাখ্যা।
কথা ছিলো বসন্ত নিঝঝুম হলে
চৈত্রের সকালে নদীগুলো ঈগল পাখির ঠোঁটে
উড়িয়ে দেবে বাষ্পীয় অনুবাদ।
এক এক করে শহরের পথঘাট
একাকার হবে ধোঁয়া ওঠা চুরুটে,
দেহের চাকরি শেষে মেয়েটিও ঘুম ঘোরে
বিছিয়ে দেবে বাহানার কারুকাজ।
এদেশে গাঢ় কাজলের প্রলেপে স্বপ্ন বেচাকেনা হয়
দিগন্ত থেকে ধেয়ে আসা আলোয়
চিত্রল হরিণও কৃষ্ণচূড়ায়র লালে রঞ্জিত হয়
কী হয় না এখানে!
তুমি উম্মেচিত হলে আকাশও বোকা প্রেমের মতো
টুকরো হয়ে ছড়িয়ে পড়ে রক্তের কণিকায়।
প্রেম সিরিজ-২
আকাশকে বললাম চৌচির হতে
লুট হয়ে যাক সবটুকু নীল-
স্বপ্নের বিবর্ণ বাকলে বৃক্ষের স্বভাব
হাত বাড়ালেই থোকা থোকা ইতিহাস,
পথ নয় কিছু জড়সড়ো স্বভাব অভাবী হতাশায়
বুক থেকে পেট অবধি টেনে রাখে।
বিকেলকে বললাম, শৃঙ্খল পালিয়ে গেছে
হাঁসের ঠোঁটে গাঢ় হলুদ
হাড়ের জমিনে প্রেমোদক কর্পূর
রোদ নিয়ে প্রজাপতি উড়োনচণ্ডি ফুলে
ঘুম ঘোরে চাঁদ বেঁকে যায়,
স্বপ্নের খোয়ার ভেঙে দিয়েছি
যে যার মতো করে পালিয়ে যাক।
দক্ষ কৃষাণীর মতো নিড়ানি দিয়েই বুঝেছি
এখানে চাষাবাদ চলেনা
ঊন ফুলের গন্ধে শীৎকার আসে।
প্রেম সিরিজ-৩
যদি কথা দাও নাক ফুলে রেখে দেবো
লুকানো শরীর
ঝাঁক বেঁধে ছড়িয়ে দেবো কার্তিকের স্বভাব
শীতের কসম!
কলাবতী তুমিও জোসনা খোঁজো খোপাহীন চাঁদে।
প্রেম সিরিজ-৪
রাত গভীর হলে ফিরে আসে বাড়ি
চাঁদের ছিপি খুলে উপচে পড়ে
সেলাই মেশি।
কথা ও পাপ পুড়ছে আগুনে।
প্রেম সিরিজ-৫
হাঁটতে হাঁটতে শরীর পুষ্টিহীন হয়ে যাচ্ছে কমরেড!
কতটা পথ হাঁটলে ক্ষয়ে যাবে আয়ুষ্মান ক্লেদ!
বটপাখি চিবুকে ঘোলাটে বিক্ষোভ-
সলতে জ্বলা রাতে বিলিয়ে দিচ্ছে গলিত লাভা
রুপোর কৌটায় পাতাবাহার রং
মেয়েটি ইটকলে হৃদয় ভেঙ্গে মিঠেখালি রোদে
সেলাই করে নিরবচ্ছিন্ন কুয়াশা।