চৈত্র ও খরার শোকে
রক্তকরবিতে লেগেছিল জঙ্গি হামলার রক্ত,
মাটিতে নিবিড় স্নেহ পুঁতে রেখেছিলে
পাতাদের চেনা বনভূমি, ঘন অরণ্যের সহোদর;
পাখিরা গুলির শব্দ শুনতে পার্কের বেঞ্চি পেতে
বসেছিল ফুটপাতে চৈত্র ও খরার
শোকে…রুগ্ণ ডালপালা-
আবার বাতাসে ঝড় বইছে ঝড়, ভাঙবে ভিখিরির ঘর।
অলসসকাল
অতলান্ত জল, বইছ জোয়ার ঢেউ
অলসসকাল, ঘুম ভাঙায়নি কেউ?
বাইরে খুব শীতবসন্ত, পাশের বাড়ি
ছাদের তারে নেই, ঘামেভেজা শাড়ি।
নেই কোলাহল, পড়াশান্ত ক্লাস-টিচার
ফুঁসে ওঠা সাগর, বিস্তীর্ণ একাকার।
লেখারটেবিল, ক্যাসেটপ্লেয়ার ছুটি
সকাল দেখতে, খুব সকালে উঠি।
প্রেমের পদাবলি
যে খাবার রেখেছিলে, নির্জন প্লেটের অপূর্ব মধ্যদুপুর ভেবে
তাতে থানকুনি পাতার উদার ভালোবাসা
ছিলো…
ভর্তা মাখানো ঘর্মাক্ত লোনা ছিল,
কুহু কুহু ডাক ছিল, বসন্তের নিরিবিলি কোকিল মেঘের গায়ে
বাতাসের ওড়না জড়ানো,
বিছানায় ঝরনার রঙলাগা গোধুলিও ছিল।
মনে মনে ভাবছি, অনেক দোল-বসন্ত গেল…
এবার কিছু গরমের পোশাক কিনে রাখব,
গ্রীষ্মের শরীর মেপে, ফিনফিনে হাওয়ায় পরাব
ফর্সা দুপুর দেখব বলে।