মৎস্যবিদ্যা
নোনা নির্ঝর বেয়ে
পৌঁছে যাবো উষ্ণ অন্দরে—
শিখে নেব মৎস্যবিদ্যা।
যেভাবে উজান বেয়ে সাঁতরে চলে
মাছেদের ঝাঁক।
প্রেমিক ও ঈশ্বর
এই আমাদের শেষ দেখা!
কিছুক্ষণ পরই আমায় একা রেখে লুকিয়ে যাবে
ছোট্ট একটি মাটির ঘরে,
অন্য পাড়ায়।
ভাবছো কাঁদতে কাঁদতে
সয়ে যাব সব—
সময়ের হাত ধরে ভুলে যাব,
না হয় ভুলে থাকব অন্য কাজে।
জীবন চলবেই,
আর থেমে গেলে তো রইলই
নিঃশব্দে পাশাপাশি দীর্ঘ ঘুম—
না, কোত্থাও যাবে না!
যেতে দেব না—
পোকা দিয়ে খাওয়াব শরীর তোমার!
থাকবে পড়ে দুশো ছয় হাড়।
তারপর হব তোমার ঈশ্বর।
জানি খুব কষ্ট হবে!
মুখ চেপে দেখব
পোকা খাবে যোনিপথ—
ক্লাইটোরিসে কিলবিলে দেহ ঘষে
ঢুকবে-বেরোবে বার বার—
শিহরণ জাগবে না আর,
জাগবে না সেইসব রাতের মতন।
বুক জুড়ে আস্তানা গেড়ে
সোল্লাসে পোড়াবে আমার
শৈশবের গন্ধমাখা
পাশাপাশি দুই খড়ের গাদা।
কুরে কুরে খাবে ঠোঁট, নিস্তেজ জিভ—
আহা, কত রাতে শুষে নিতে
দিনশেষে জমে থাকা ক্লান্তির বিষ।
তখন পোকাদের দখলে সব!
রক্ত, রস, চোখ-নাক-মুখ-মগজ
সব শেষ—
লুটে-পুটে-চেটে নিঃশেষ।
আলো নিভে গেলে
পোকাদের ছুটি।
অন্ধকার—
এগোবে চেনা পথ ধরে আমার
সব্যসাচী হাত,
দশটা আঙুল
দেউলিয়া ঘোষিত ফেলে যাওয়া কঙ্কালে।
সিলিকন আবরণে এইবার
মনের মতো
যত রেখায় রেখায়
প্রিয় হাতের ছোঁয়ায়
প্রেমের দোহাই
গড়বো তোমায় অনুপমা!
পাখির মতো ঠোঁট
পাউট করে আর কতদিন!
সেলফি-র কথা ভুলে যাও
আমার দিকে তাকাও
পাখির মতো করে দিই ঠোঁট তোমার!
ঠোঁটে ঠোঁট চেপে চুমুর বিবর্তনে করে দিই
পাখির মতো ঠোঁট তোমার।
দূর শস্যক্ষেত খুঁজে দানা এনে ভালোবেসে
পুরে দাও মুখে
নয়তো, তীক্ষ্ণ চঞ্চুর নির্মম আঘাতে আঘাতে
করো ক্ষত-বিক্ষত!
পাখির মতো করে দেই ঠোঁট তোমার
পাখির মতো।