বদমায়েশি
তাদের বদমায়েশির বলি মানুষ নামীয় পিঁপড়েরা!
যেটি উহান থেকে উড়ে উড়ে
দ্বিখণ্ডিত করছে—বন্ধ ঘরের ভেতর।
বদমায়েশিটা এমন যে, কেউ ছুঁতে পারে না।—ছুঁলে!
তাকেও দ্বিখণ্ডিত করে।
কোনো রক্তজল মাটিতে পড়তে দেয় না।
জিহবায় এতই আগুন যে, টের পাওয়ার আগেই
ফুটন্ত তেলে ফ্রাই হয়ে যায় স্বপ্ন।
কেউ কাছে ভিড়ে না, ধরে দেখে না, ছুঁয়ে দেখে না।
এত কঠিন আর সুক্ষ্ণ বদমায়েশি যে—
সবাই একা হয়ে গেছে। সবার থেকে আলাদা সবাই।
খেলা
এই যা—রীতিমতো একটি খেলা।
বলশালী আর বনমালী মিলে আজ তারা
সাগরের গভীর তলদেশের শামুক এক—
এরা সাবমেরিনের আঙ্গিকে
বানিয়েছে মৃত্যুকল—যা
ডুবে ডুবে সাগর নিধনের চাল দিচ্ছে
মানুষ পোড়ানোর চাল দিচ্ছে তাই—
. মৃত্যুবীজ পুতে দিলো দেশে দেশে।
সামনের শতবছর নিজেদের করে নিতে হিংস্র, উন্মত্ত এরা।
বাটনটা তাদের তর্জনির নিচে নেওয়ার এসব উলঙ্গ খেলা।
আগামি পৃথিবী বলশালী আর বনমালীদের—
আর বাকি যারা আছ—সবাই মিলে আঙুল চোষো।
এই হিসাব-নিকাশ
এ খেলার এই-ই ফলাফল।
ঠ্যাকনা
তাকে যদি একটা বৃক্ষ ভাবি—স্বভাবতই প্রশ্ন আসে
কোনো কাজে আসবে কি না?
তার কতটুকু যত্ন নিলে সে কতটুকুন ফল দেবে?
ফলটা তেতো না কি মিষ্টি?
কতটুকু লম্বা হলে ঠ্যাকনার প্রয়োজন হবে।
গাছটাকে কেউ কেউ এমনিই ঠ্যাকনা দিলো
চেনা নেই, জানা নেই—তারপরও।
অনেক জঞ্জাল পেরিয়ে বৃক্ষটা একটুখানি খাঁড়া।
একটু একটু ছায়া, একটু একটু বয়ার—এই এমনিই
বাড়-বাড়ন্ত তার। বৃক্ষটি হেলেদুলে খাড়া রয়।
কিছু দিন হলো—অগ্নিঝড় হচ্ছে
নিরাপদ আশ্রয়ে পশুপাখি। এ ঝড়ের উৎপত্তিস্থল খুঁজি
চোখে কিছু ঠাহর আসছে না। অবাক দাঁড়িয়ে বৃক্ষটি
বিড়বিড় করে কী যেন কথা কয়।
প্রেমিকা নন, তার চেয়েও বেশি
এই জমায়েতের এক বিন্দু থেকে দশ হাত করে ডানে-বামে
পেছনে-সামনে একটা করে সরল রেখা টানি—
ধরুন—সৃষ্ট এই চতুর্ভুজটি রঙিন একখানা কাগজ অথবা রুমাল।
আসুন, আসুন একে একে চারকোণা
কাগজ অথবা রুমালের কোনাগুলো
. মধ্যবিন্দুতে এঁটে দেই।
অথবা একটা হৃদয় দিয়ে পেপারওয়েটের ন্যায়
. ছাপ দিয়ে আটকে রাখি।
পুনরায় সৃষ্ট চারকোণা আরেকবার মধ্যবিন্দুতে জমা করি।
এবার কারো পকেট থেকে একটা কলম নিয়ে
নিচের দিক থেকে ঠ্যাকনা দেই
দেখুন, দেখুন কী সুন্দর একটা ফুল ফুটেছে এই সভায়।
প্রবীণ, নবীন, মধ্য বয়সী বাকি যারা—
মনে করি সবাই একেকটা পাপড়ি অথবা সবুজ সবুজ পাতা।
আসুন, আসুন আমরাও ওই কেন্দ্রীয় ফুলের কাছাকাছি সমবেত হই।
দেখুন—কী সুন্দর একটা পুষ্পকরথ অথবা ফুলঝুড়ি।
এবার দাঁড়িয়ে থাকা জোলেখার কাছে নিবেদিত হই।
তিনি কারও প্রেমিকা নন।—তারচেয়েও বেশি।
যিনি আমাদের মা। বুকের জমিন মাটি ও
. মাতৃভূমি সোনার বাংলাদেশ।