বিশ্বাসের পিরামিড
অভিমান ভুলে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে পড়ো পিচঢালা পথে
হৃদয়ে জাগিয়ে তোলো প্রেম, মানবতায় বাড়াও বিশ্বাস
কালো ফ্রেমের চশমাটা পরিষ্কার করো মর্যাদার জলে
চেয়ে দেখো দশদিকে দ্যুতিময় গাংচিলের বেশ
শোনো জলের গান, দেখো অসীম বিশ্বাসের দৃঢ়তা
পূর্ণিমা রাতে জোসনা ধারার জলে স্নাত হয়ে যাও
সুকোমল কুয়াশার পথ ধরে হাঁটো কিছুটা পথ
জোনাকির আনাগোনা সুদর্শন গুঞ্জনের সাথে মেতে ওঠো
ঘর ছাড়ো কচুরিপানা, হাসনাহেনা লাল-শাপলার খোঁজে
পূর্ণিমায় রাত্রিযাপন করো ছাদহীন নীরব নির্জনে।
কথা দাও, আজ পূর্ণিমা রাত কাটাবে আমার সাথে
বিশ্বাসের পিরামিড গড়ে উঠবে-আমি কথা দিলাম।
প্রশান্তির অন্বেষায়
মেঠোপথ ঘেঁষে
জোনাকি পোঁকাদের ভিড় ঠেলে
বনাজি ঘ্রাণ শুঁকতে শুঁকতে
আমি জোছনার জলে স্নাত হতে চেয়েছি।
দূর বহু দূরে…নদীটার ওই পাড়ে
নিভু নিভু কুপিবাতির সুখের আলোয়
বটগাছটার নিচে বসে অফুরান
হিমশীতল বাতাসের স্বিগ্ধতা খুঁজে যাই-বয়েসী অভিমুখে।
বিরহ বিচ্ছেদী বাউলের গান শুনি
প্রাণ ফিরে পাই, কষ্টগুলো ভুলে যেতে থাকে
সুরমা পাড়ে বসাই সৃজনের আসর
বিদগ্ধ হৃদয়ে সাজাই অণুকাব্যের শৌখিন পসরা।
এই আমি একমুঠো প্রশান্তির অন্বেষায়
বেড়িয়ে পড়েছি বেরসিক নগর যাতনা ছেড়ে।
গ্রামের দিগন্তে খুঁজি বহুরূপের অপূর্ব মায়া।
ছলনার ভালোবাসা
আজ আকাশটা অনেক সুন্দর
আমি বাসার ছাদে
ঝলমলে তারার আলোয় নিজেকে খুঁজে ফিরি
আপনিও উঠুন না
হোক না দুই শহর কিংবা দুই ছাদ
তবুও তো আছি একই চাঁদের নিচে
এটাই বা কম কিসে?
সুরমার ঘোলাজলে আজ পা ভিজিয়েছি
স্বিগ্ধ সুকোমল হিমশীতল জল
কচুরিপানা ভাসিয়ে দিন উজান পানে
আমি না হয় ধরে নেবো ভাটির গাঙে
আমিও তো সুরমা পাড়ে থাকি
একই জলে স্নান থাকুক অম্লান।
তারপর একদিন শ্রাবণের দিন
সে কি যে বৃষ্টি কি লাতুপুতু কণ্ঠ
আমি না বৃষ্টিতে ভিজতে খুব ভালোবাসি আপনি ভিজবেন?
এক আকাশের বৃষ্টির জল ভিজবো দুজন আপনার কি সর্দির ভয় হয়?
কুঁয়াশা আমার কী যে ভালো লাগে
হাঁটতে হাঁটতে বটগাছটার ওই দিকে যাই
আপনিও বের হোন না
পিচঢালা পথে ঘুরে আসুন কিছুটা সকাল
হোকনা দূরত্ব দুজনার
তবুও আছি এক সকালের ফ্রেমে!
তারপর একদিন
হঠাৎ আপনি থেকে তুমি হয়ে গেলাম!
সে কী আবেগ! জড়াজড়ি, মায়াকান্না
এতসব কী দরকার ছিল বলো
যদি না ভালোবাসার মতো বাসতেই না দিলে
আবেগ কি বাস্তবটাকে মেনে নিতে পারে না?
যদি না ভালোবাসবে লুতুপুতু আবেগের কী দরকার ছিল বলো?
গন্তব্যে যাবে না জেনেও কেনো
টিকিট কেটেছ প্রথম কামরায়?